ভোলার চরফ্যাশনে ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তরা এখনও খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। সরকারি ভাবে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কিছু শুকনো খাবার বিতরণ করলেও অনেকেই এই খাবারের প্যাকেট নিতে অপারগতা প্রকাশ করছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে সামান্য ত্রাণ না দিয়ে উপকূলে অসহায় মানুষের জন্য স্থায়ীভাবে বাসস্থানের দাবি করেছে।
উপকূলে পূর্ব সতর্কতা ও প্রশাসনের প্রস্তুতির কারণে ঘূর্ণিঝড়ে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহাণীর ঘটনা না ঘটলেও অসহায় দরিদ্রদের আধা কাঁচা টিনের ঘর বিদ্ধস্ত হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। যে কোন ঘূর্ণিঝড়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠিকেই বেশি। দূর্যোগের পর অনেকেই আসেন ত্রাণ সহায়তা নিয়ে, কেউই আসে না স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে।
স্থানীয় সাংবাদিকদের পেয়ে প্রশাসন ও জনপ্রতিধিদের উদ্দেশ্যে রবিবার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার লোকজন এসব অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে রোববার উপজেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, চরফ্যাশনে ১২টি ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্থদের ৬০ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিধ্বস্ত ঘর মেরামতের জন্য কোন অর্থ বরাদ্দ হয়নি। সরকারিভাবে ঘূর্ণিঝড় ফণী আক্রান্ত ক্ষতিগ্রস্থদের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরি-মুকরি, মুজিব নগর, নজরুল নগর, মানিকা, চর মাদ্রাজ, চর কলমী, জাহানপুর, আসলামপুর সহ ১২ ইউনিয়নে ৬ লক্ষ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করছেন। তালিকা অনুযায়ী অসহায় ক্ষতিগ্রস্থদের স্থায়ী ভাবে ঘর করে দেওয়ার হবে বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার