বাগেরহাটে খালের চরে পুঁতে রাখা অবস্থায় লামিয়া আক্তার ফারিয়া (৭) নামে প্রথম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। এসময় শিশুটিকে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব (১৮) নামে এক তরুণকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী।
রবিবার রাত ৮টার দিকে দিকে সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামের দিঘিরজান খালের চরে পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় গ্রামবাসী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ ও গ্রামবাসী ধারণা করছে।
শিশু ফারিয়া আক্তার বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামের ওমর আলী শেখের মেয়ে ও স্থানীয় কোন্ডলা বড়ুবিবি দাখিল মাদ্রাসার শিশু শ্রেণির ছাত্রী।
আটক মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ইমনের ছেলে।
শোয়েব তার নানা বাড়ি পাতিলাখালী গ্রামে থেকে পড়ালেখা করছিল। সে চলতি শিক্ষাবর্ষে পাতিলাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব নিহত লামিয়া আক্তারের সম্পর্কে ভাগ্নে।
গোটাপাড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোল্লা হায়দার আলী রাতে বলেন, রবিবার বিকেল ছয়টা থেকে পাতিলাখালী গ্রামের ওমর আলীর ৭ বছর বয়সী মেয়ে লামিয়াকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এসময় এক প্রতিবেশী ওমর আলীর নাতি মিনহাজুল ইসলাম শোয়েবকে কোলে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি খাল পার হতে দেখেছেন বলে জানালে স্থানীয় গ্রামবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করে।
পরে গ্রামবাসী নিখোঁজ লামিয়া আক্তার ফারিয়াকে খুঁজতে নেমে বাড়ির পাশের দিঘিরজান খালের চরে পুঁতে রাখা অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় গ্রামবাসী খালের পাড়ে একটি গর্ত খোড়াও দেখতে পেয়েছে। মরদেহটি লুকিয়ে ফেলতে সে ওই গর্ত খুড়ে রেখেছিল বলে ধারণা। শোয়েব নামের ওই তরুণ শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহটি লুকিয়ে ফেরার চেষ্টা করেছে বলে গ্রামবাসী ধারণা করছে।
গ্রামবাসীর সন্দেহ হওয়ায় ওমর আলীর নাতি শোয়েবকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, রবিবার বিকাল থেকে শিশু লামিয়া আক্তার ফারিয়াকে তার পরিবারের সদস্যরা দেখতে না পেয়ে খোঁজা-খুঁজি শুরু করে। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী শিশুটিকে খুঁজতে নেমে রাতে তাদের বাড়ির পাশের খালের চরে পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। এই শিশুটিকে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে তার নিকট আত্মীয় শোয়েরকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন