রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ‘গোলাগুলিতে’ জিয়ারুল ইসলাম ওরফে কালু (৩৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই দলের মধ্যে ‘গোলাগুলি’তে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রহমানের মোড় হতে কেশবপুর বাজারগামি পাঁকা রাস্তার উত্তর পাশে হামিদুল ইসলামের আম বাগানে কথিত এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
পুলিশের ভাষ্য, নিহত জিয়ারুল রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি অস্ত্র মামলা ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনসহ বিভিন্ন অপরাধে ১০টি মামলা রয়েছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন আলী জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে পুলিশের কাছে খবর আসে- বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের রহমানের মোড় হতে কেশবপুর বাজারগামি পাঁকা রাস্তার উত্তর পাশে হামিদুল ইসলামের আমবাগানে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি চলছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অভিযানে যায়। মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় সিনিয়র পুলিশ সুপার (চারঘাট সার্কেল) নুরে আলম ওসি মহসীন আলী, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক খালেদুর রহমানসহ পুলিশের ৯ জন সদস্য আহত হয়।
মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জিয়ারুল ইসলাম ওরফে কালুকে উদ্ধার করে বাঘার স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ঐ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিনসহ ২ রাউন্ড গুলি ও ৫৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা একই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
এদিকে নিহতের স্ত্রী ইসমা বেগম দাবি করেন, আগের দিন বুধবার রাত ১১ টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে গোকুলপুর এলাকার হাজরাপাড়া বালুর ঘাট এলাকায় সাদা পোশাকধারী ৪ জন লোকজন তার গতিরোধ করে মোটরসাইকেলে তাকে তুলে নিয়ে যায়।
বিডি প্রতিদিন/কালাম/শফিক