অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের আওতায় ফরিদপুরের সালথায় কর্মসূচির কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুইটি ইউনিয়নের প্রকল্পে শ্রমিক কম থাকায় দুইটি প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
জানা যায়, ইজিপিপি'র আওতায় উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড়খারদিয়া কুমার নদী হতে সাতগুদির বিল পর্যন্ত কাকটা খাল কৃষিকাজের উপযোগি করে পুনঃখনন প্রকল্পে ৭৩ জন অতিদরিদ্র লেবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রকল্প সভাপতির যোগসাজশে অতিদরিদ্র লেবারের পরিবর্তে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেকু মেশিন দিয়ে কম খরচে খাল খনন করা হচ্ছে। এতে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অতিদরিদ্র লেবাররা।
এ বিষয়ে প্রকল্প সভাপতি ইউপি সদস্য তোরাপ হোসেন বলেন, আমি নামে মাত্র প্রকল্প সভাপতি, সব দায়দায়িত্ব চেয়ারম্যানের।
ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের মুন্সী বলেন, শ্রমিকও কম ছিলো, বেকু মেশিনও ছিল। এলাকার মানুষের সুবিধার্থে বেকু মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী লিয়াকত হোসেন বলেন, কর্মসূচির কাজে বেকু মেশিন দিয়ে কাজ করা সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা কাজের আগে মিটিংয়ে সকল চেয়ারম্যান ও প্রকল্প সভাপতিদের বেকু মেশিন ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। বেকু মেশিন ব্যবহার করার জন্য প্রকল্প বন্ধ করার জন্য জরুরিভাবে নেটিশ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাকছুদুল ইসলাম বলেন, বেকু মেশিন দিয়ে কর্মসূচির কাজ করা যাবে না। যেসব প্রকল্পে অনিয়ম দেখবো, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এর আগে সোনাপুর ইউনিয়নের মিনাজদিয়া প্রকল্প ও ভাওয়াল ইউনিয়নের কামদিয়া প্রকল্পে শ্রমিক কম থাকায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা