নেত্রকোনার কলমাকান্দায় লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে ফাতেমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের খবর পেয়ে উদ্ধার করেছে।
শনিবার দুপুরে এ ঘটনায় আটককৃত স্বামী সতীন সহ চারজনকে নেত্রকোনা কোর্টে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হচ্ছেন, গৃহবধূর স্বামী জাহাঙ্গীর আলম, সতীন নার্গিস আক্তার, শ্বশুর মনসুর আলী ও ননদ ফরিদা আক্তার।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কলমাকান্দা থানা পুলিশ গৃহবধূকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তাকে কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় ফতেমা বাদী হয়ে মোট আটজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন বলে কলমাকান্দা থানার ওসি মোঃ মাজাহারুল করিম নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান রাতেই চারজনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদেরকেও আটকের চেষ্টা ছলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের ঘরে প্রথম স্ত্রী থাকার পরও একই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করে। কিন্তু ফাতেমাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি জাহাঙ্গীরের প্রথম স্ত্রীসহ তার পরিবারের লোকজন। বনিবনা না হওয়ায় একপর্যায়ে গত তিন/চার মাস আগে স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে ফাতেমার সাথে জাহাঙ্গীরের বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং ফাতেমা তার বাবার বাড়িতে চলে যায়।
এদিকে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গত তিন চার দিন পূর্বে জাহাঙ্গীর আবারো ফাতেমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরপরই তার উপর শুরু হয় জাহাঙ্গীর ও তার পরিবারের লোকদের নির্যাতন। একপর্যায়ে ফাতেমাকে লোহার শিকলে বেঁধে রেখে নির্যাতন শুরু করে। পরে শিকলবন্দী করে গৃহবধূ নির্যাতন করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার রাতে কলমাকান্দা থানা পুলিশ গৃহবধূ ফাতেমাকে উদ্ধার করে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন