২৩ মে, ২০১৯ ১৮:২২

শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনালেন শাহরিয়ার কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া:

শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনালেন শাহরিয়ার কবির

বগুড়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা শুনলো রণাঙ্গনের বীরত্বগাঁথা ও মুক্তিযুদ্ধের নানা মর্মস্পর্শী কাহিনী। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির শিক্ষার্থীদের এই গল্প শুনালেন। 

মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান, আত্মত্যাগ, শহীদ পরিবারগুলোর পরবর্তী দুর্দশা আর যুদ্ধশিশুদের মাকে খোঁজার আকুতি তুলে ধরেন তিনি তাঁর গল্পে। 

শিক্ষার্থীরা তাঁর কথার মাঝে যেন নিজেরাও হারিয়ে যায় একাত্তরের দিনগুলোতে। অনেকে ওই দিনগুলোর করুণকাহিনী শুনে কান্না ধরে রাখতে পারেনি।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বগুড়া নার্সিং ইনস্টিটিউট চত্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কর্মসূচি ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 
বগুড়া জেলা প্রশাসন এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়া’র যৌথ উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে এই কর্মসূচি চলছে। 
মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ। 

সম্মানিত অতিথি ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সামির হোসেন মিশু। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বগুড়ার সমন্বয়কারী এ টি এম রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বগুড়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ মোস্তানূর সুলতানা।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সাংস্কৃতিক ইউনিটে কাজ করা শাহরিয়ার কবির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এদেশের নারীরা শুধুমাত্র যে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে নির্যাতনের শিকার বা সম্ভ্রম হারিয়েছেন তা নয়, অনেকেই সম্মুখ সমরে অংশ নিয়ে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। অনেক নারী যুদ্ধ শিবিরে চিকিৎসক ও সেবিকা হিসেবে কাজ করে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন রক্ষা করেছেন। 

যুদ্ধপরবর্তী সময়ে শহীদ পরিবারগুলোর দুর্দশার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ওইসব পরিবারের নারীরা যুদ্ধের এই ৪৮ বছর পরও তাঁদের জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের পাশে সরকারসহ সর্বস্তরের মানুষের দাঁড়ানো দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  অনুষ্ঠানে বগুড়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। পরে তাদের অংশগ্রহণে ক্যুইজ পর্বে নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে শিক্ষার্থীরা পুরস্কার হিসেবে পায় মুক্তিযুদ্ধের বই। ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোন’ অনুষ্ঠান এপর্যন্ত ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয়েছে। ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চার হাজারের অধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর