চার মাস (১৩৫দিন) পর প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমার থেকে আবারও চারটি কাঠ বোঝাই ট্রলার কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে ভীড়েছে। এতে করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে।
শুক্রবার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. ময়েজ উদ্দিন।
চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি থেকে ৫ জুন বুধবার পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দরে কাঠ আমদানি বন্ধ ছিল। কাঠ আমদানি বন্ধ থাকায় দৈনিক ৭ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল সরকার।
এদিকে গত ৪ জানুয়ারি মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসে রাখাইনে বৌদ্ধ বিদ্রোহীরা সে দেশের চারটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালায়। এ হামলায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সাত জন সদস্য নিহত হন। এরপর থেকে সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করলে কাঠ আমদানি বন্ধ হয়ে পড়ে।
শুল্ক কর্মকর্তা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরে চারটি ট্রলারে ৩৭০ মেট্রিক টন সেগুন ও গর্জন কাঠ এসেছে। তিনটি ট্রলার সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির ও অপরটি টেকনাফের কাঠ ব্যবসায়ী আরসাদুল করিমের। ঈদ উপলক্ষে ৪ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ৮ জুন (শনিবার) পর্যন্ত টেকনাফ স্থলবন্দর পাঁচদিন পণ্য উঠানামা বন্ধ থাকলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে কাঠগুলো খালাসে ব্যবস্থা নিয়েছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, কাঠ আমদানি শুরু হওয়াই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চলতা ফিরেছে।
স্থলবন্দরে সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঈদে পাঁচদিন স্থলবন্দর বন্ধ থাকলেও কাঠ আসায় শ্রমিকদের দিয়ে ট্রলার থেকে খালাসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন