শরীয়তপুরের নড়িয়া রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার ধসে পড়েছে। এতে একটি মসজিদ, বেশ কয়েকটি বসত বাড়িসহ গাছপালা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নড়িয়া উপজেলার সাধুর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় আশপাশের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে রাতেই অন্তত ৫০টি বসত বাড়ি অন্যত্র সড়িয়ে নিচ্ছে ভাঙন কবলিতরা।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, এক সপ্তাহ যাবৎ পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে নদীতে স্রোত বেড়েছে। স্রোতে নড়িয়া রক্ষা বাধেঁর ১০০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে।
কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ জানান, সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ ৩০ মিটার পাশে ১০০ মিটার এলাকা নিচের দিকে দেবে গেছে। এতে একটি মসজিদ, পাকা বাড়িসহ গাছপালা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। এখনো থেমে থেমে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। আশপাশের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কিত হয়ে মানুষ ঘর-বাড়ি আসবাপত্র অন্যত্র সড়িয়ে নিচ্ছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তি রুপা রায় বলেন, এ ঘটনার সাথে সাথে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদে সড়িয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছি। ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপনের কাজ চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ডাম্পিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কৃঞ্চ সরকার জানান, আমরা নিয়মিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করি। কিন্তু কোথাও কোন ভাঙন দেখি নাই। হঠাৎ সন্ধ্যায় প্রায় ১০০ মিটার জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছেছি। জরুরি ডাম্পিং শুরু করা যায় কিনা-সে চেষ্টা করা হচ্ছে। এখনো থেমে থেমে ভাঙন চলছে। ঘূর্ণ স্রোত সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর নড়িয়ার ৮ কিলোমিটার জুড়ে ব্যাপক ভাঙন ছিল। ভাঙনে ওই এলাকার সাড়ে ছয় হাজার পরিবার গৃহহীন হয়। নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অসংখ্য স্থাপনা বিলিন হয়ে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন