রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত স্কুলছাত্র ইমন হোসেনের বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় এরই মধ্যে পুলিশের হাতে আটক হওয়া চার সহপাঠীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এই হত্যা মামলায় ইমনের সহপাঠী হৃদয়কে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া অপর তিনজন আসামি হলো- ইমন, অন্তর ও হানিফ।
ওসি মনসুর আলী আরিফ জানান, আটক চারজনকে রাতভর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর শুক্রবার সকালে ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আজ দুপুরের মধ্যেই তাদের আদালতে পাঠানো হবে। আদালতে তাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা রয়েছে। তা না হলে তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হতে পারে বলেও জানান কাশিয়াডাঙ্গা থানার এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে রাজশাহীতে স্কুলের মধ্যে টিফিনের খাবার নিয়ে বাকবিতন্ডায় সহপাঠীর হাতে ছুরিকাহত ইমন হোসেনের (১৪) মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ইমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ইমন হোসেন রাজশাহী মহানগরীর চারখুটা এলাকার ইউসেপ মোমেনা বখ্শ স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাড়ি কাশিয়াডাঙ্গা এলাকায়। তার বাবার নাম আব্দুস সালাম। এ ঘটনার পর চার স্কুলছাত্রকেও আটক করা হয়।
মহানগীর কাশিয়াডংঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী আরিফ জানান, দুপুরে স্কুলে টিফিনের খাবার নিয়ে হৃদয় নামের এক সহপাঠীর সাথে ইমনের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় হৃদয় তার কাছে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ইমনের পেটে আঘাত করে। পরে শিক্ষকরা ছুটে আসেন। এ সময় তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওসি মনসুর আলী আরও বলেন, শিক্ষকরা থানায় খবর দেওয়ার পর ওই স্কুলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চার ছাত্রকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তারা সবাই ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন