ময়মনসিংহের ফুলপুরে সুতারপাড়া টু কেন্দুয়া (৩ কিলোমিটার) বাজার রাস্তা যেন এক মরণ ফাঁদ। এদিকে, তারাকান্দা টু ধোবাউড়া (৮ কিলোমিটার) রাস্তার ফুলপুরের অংশে রাস্তাটির ইট, পাথর ও সুরকি সরে গিয়ে ২০-৫০ হাত পর পর বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।
বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। কোনো বিকল্প রাস্তা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই লোকজন চলাচল করছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে রাস্তাটির করুণ অবস্থা চোখে পড়ে। দেখা যায়, ২০-৫০ হাত পর পর বড় বড় গর্ত। গাড়ি চলাচলের সময় কাত হয়ে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। এতে প্রায় প্রতিদিনই ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।
এদিকে, বওলা এমদাদিয়া শারইয়্যা হাফিজিয়া মাদরাসার সামনে কালভার্ট ভেঙে দুই পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এগুলোতে কোনো নির্দেশনা চিহ্ন না থাকায় রাতের বেলায় অপরিচিত লোকদের জন্য এই রাস্তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়।
দুর্ভোগের বর্ণনা দিয়ে বওলা গ্রামের লাখ মিয়া বলেন, প্রায় ৫ বছর যাবৎ রাস্তার এই করুণ অবস্থা। আমরা বহু কষ্টে আছি। বর্ষাকালে বাচ্চা কাচ্চা ইস্কুলে গেলে শইল্যে কাদা মাহায়া আয়ে। আর শুকনা মৌসুমে ধুলায় সাদা অইয়া যায়।
একই গ্রামের তানভীর খান বলেন, ভালা পোশাক পইরা বাজারে যাওন যায় না। গাড়ি ছিটকান মাইরা কাপড়ে কাদা মাহায়া দে। কেন্দুয়া গ্রামের শহীদ বলেন, এই রাস্তা দিয়া রোগীটুগি লইয়া হাসপাতালে যাওয়া মহাবিপদ। ১০ মিনিটের পথ যাইতে লাগে আধা-ঘণ্টা।
ফুলপুরের সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বর্তমানে হালুয়াঘাট উপজেলা প্রকৌশলী শান্তনু ঘোষ বলেন, তারাকান্দা টু ধোবাউড়া রাস্তার ৮ কিলোমিটার রাস্তা করার জন্য একবার টেন্ডার হয়েছিল। তখন ভোলা- ৩ আসনের এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন রাস্তাটির ঠিকাদার ছিলেন। ৩ কিলোমিটার রাস্তা করার পর ওই টেন্ডার বাতিল হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবনিযুক্ত ফুলপুর উপজেলা প্রকৌশলী আফছার হোসেন বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। বিষয়টি ভালভাবে জেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল বলেন, রাস্তাটি আমিও পরিদর্শন করেছি। এটা আসলেই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি রাস্তা। আগামী শুকনো মৌসুমের আগেই রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন