কুমিল্লার হোমনায় জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের দেড়শ’ ফুট টাওয়ারে মো. নাসির (৩০) নামের এক যুবকের উঠা নিয়ে তুলকালাম ঘটেছে। এসময় তাকে দেখতে টাওয়ারের নিচে মানুষের ভিড় জমায়। শুক্রবার বিকেলে এমন অদ্ভূত ঘটনা ঘটে হোমনা উপজেলার ঘারমোড়া হাদির খাল এলাকায়। তবে যুবকের দাবি তাকে 'জ্বীন' টাওয়ারে তুলেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, টাওয়ারে ওঠার কিছুক্ষণ পর ওপর থেকে একজনকে বলেন আজান দিতে। শাহ পরান নামে এক যুবক আজান দিলে নিজেই নিচে নেমে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই যুবক।
জানা যায়, মো. নাসিরের বাড়ি নোয়াখালী সেনবাগ উপজেলার ইয়ারপুর গ্রামে। তিনি বেড়াতে এসেছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলায়। মনের অজান্তেই চলে যান পাশের হোমনায়।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুত সমিতি ৩ -এর ডিজিএম আক্তার হোসেন জানান, তখনও বিদ্যুৎ ছিল। খবর পেয়ে যোগাযোগ করি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের সঙ্গে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন হোমনার ইউএনও তাপ্তি চাকমা।
সুস্থ হয়ে নাসির জানান, ‘আমার সাথে ছয়টি মহিলা জ্বীন থাকে, চারটি আমাকে অনেক মারধর করে। এদের কথা না শুনলে ব্লেড দিয়ে আমার শরীর কেটে রক্ত খায়। আমাকে মেরে ফেলার জন্য কয়েকবার বিদ্যুতের টাওয়ারে তুলেছে। জ্বীনদের মধ্যে দুইটি ভালো। তারা আযান দিতে বললে আযানের ধ্বনি শুনলেই চারজন চলে যায়। দুইজন আমাকে নিরাপদে নামিয়ে দিয়ে যায়। আজ আমি তিতাস উপজেলায় বেড়াতে এসেছিলাম। আমি গরুর মাংস খাওয়ার কারণে আমাকে মেরে ফেলার জন্য কারেন্টের টাওয়ারে উঠিয়েছে। পরে আযান দেওয়ার পর ভালো দুইজন আমাকে নিচে নামিয়ে দিয়েছে। আমি সুস্থ আছি।
তিনি আরো বলেন, এক সময় এরা আমার মায়ের সঙ্গে ছিল। আমার মাকে মেরে ফেলেছে। এরপর আমার ওপর সওয়ার হয়েছে।’
নাসিরের বাবা ফোনে জানান, তার ওপর জ্বীনের আছর আছে। ছোটবেলা থেকেই সে এ রোগে ভুগছে। জ্বীন চলে গেলে সে নিজে নিজেই চলে আসতে পারবে।
কর্তব্যরত আবাসিক ডাক্তার মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ছেলেটির মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। একজন সুস্থ মানুষ কখনই বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় ওঠবে না।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল