রাঙামাটি ১০টি উপজেলায় দুর্গাপূজা মণ্ডপকে ঘিরে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির। তিনি বলেন, পূজা উৎসবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পূজা পূজামণ্ডপগুলোতে সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। একই সাথে পূজামণ্ডপ এলাকায় আনসার ও পুলিশের বিশেষ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলের পূজামণ্ডপগুলোতেও যৌথবাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে। এসময় তিনি দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে আইন শৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎসবে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
সোমবার দুপুরে রাঙমাটি জেলা পুলিশ সুপার সভা কক্ষে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আইন শৃঙ্খলা সভার পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির এসব কথা বলেন।
এসময় রাঙামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ছুফি উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. মাঈন উদ্দীন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার মো. আলমগীর কবির আরও বলেন, এবার রাঙামাটি ১০টি উপজেলায় ৪২টি মন্দিরে এবার শারদীয় দুর্গাপূজা একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পূজা উৎসবকে ঘিরে যাতে কোন রকম আইন শৃঙ্খলা বিঘ্ন না হয় সে বিষয়ে বিশেষ নজড় দেওয়া হয়েছে। তাই পূজা উদযাপন কমিটির কাছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫টি নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- গুরুত্বপূর্ণ ও দর্শনার্থী বহুল পূজামণ্ডপে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি নারী আনসারের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপ ও সংযোগ সড়কগুলোতে সার্বিক নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত লাইটিং জেনারেটর) ব্যবস্থা করতে হবে। একই সাথে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে নাচ, গান, মদ্যপানসহ উগ্রতা ও অশ্লীলতা প্রদর্শন থেকে বিরত থাকতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আযান ও জামাতের সময় পূজামণ্ডপে ঢাক, ঢোল, বাজনা, কীর্তন ও মাইকে গান বন্ধ রাখতে হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুরুষ ও নারীর জন্য আলাদা প্রবেশ পথ ও তল্লাশির ব্যবস্থা রাখতে হবে। মূল ফটক কিংবা সড়কে দোকান না বসানো। আতশ জি ও ফটকা ফুটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া বিসর্জনের দিন পানি পথে প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা। পুলিশ অফিসারের সাথে সমন্বয় করে বিসর্জন পূর্বে শোভাযাত্রা সড়ক নিধারণ করতে হবে এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে বিসর্জন সম্পন্ন করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম