কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পূর্ণমতি গ্রামের এক মাদকাসক্ত যুবক মো. হান্নান মিয়া পূর্ণমতি বাজারে মাতাল অবস্থায় একটি দা দিয়ে ১২ জনকে কুপিয়ে আহত করে। এসময় কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণপাড়াগামী বিভিন্ন যানবাহনে দা দিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকটি অটোবাইক ও সি.এন.জি অটো রিকশা ভাঙচুর করে। পরে এলাকাবাসী তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ডা. আকতার হোসেন, নাজমুলসহ এলাকাবাসী জানায়, সোমবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ণমতি গ্রামের মো. হারুন অর রশিদের মাদকাসক্ত ছেলে মো. হান্নান (৩০) স্থানীয় পূর্ণমতি বাজারে হোটেল ব্যবসায়ী সেলিম মিয়ার দোকান থেকে দা সংগ্রহ করে প্রথমে সুজন মিয়ার উপর আক্রমণ করে। পরে বাজারের লাইব্রেরি ব্যবসায়ী মোঃ শাওনকে (২৪) কুপিয়ে আহত করে। বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, পথচারীদেরকে দা দিয়ে ধাওয়া করে। এসময় স্থানীয় বাজারের লোকজন ও ব্যবসায়ীরা ছোটাছুটি শুরু করে। তখন হান্নান সড়ক ধরে দা নিয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দিকে ছুটতে থাকে। সড়ক ধরে যাওয়ার সময় রাস্তায় যাকে সামনে পায় তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। পূর্ণমতি উত্তর বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম মুকসু (৪০), বাবুলকে (৪৫) কোপাতে থাকে। পরে দড়িয়ারপাড় এলাকায় দৌঁড়ে গিয়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী নজরুল ইসলামকে (৩৫) কুপিয়ে আহত করে। সড়কে অটোবাইক, সি.এন.জি অটো রিকশার উপর দা দিয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় এবং ৫-৬ জন যাত্রী আহত হয়। বাজারের লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে বুড়িচং,ব্রাহ্মণপাড়া ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করে। অপরদিকে হান্নান দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে দেড় কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার টাকই গ্রামের মসজিদের ইমামের উপর হামলা চালায়।
এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। বুড়িচং থানার এস.আই. সুজন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক যুবককে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে এসআই সুজন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় মো. হান্নান মিয়াকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। হান্নান মাদকাসক্ত। সে উপজেলার পূর্ণমতি বাজারসহ বিভিন্ন রাস্তাঘাটে ১০-১২ জনকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করার খবর স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার