পিনপতন নিরবতায় ৫ মিনিট স্তব্ধ ছিল নেত্রকোনা শহর। উদীচীতে ২০০৫ সালের ৮ ডিসেম্বর বোমা হামলায় নিহতদের স্মরণে প্রতিবছরের এই দিনে কর্মসূচীটি পালন করে নেত্রকোনা শহরবাসী।
নেত্রকোনা ট্যাজেডি দিবস উদযাপন পরিষদের ব্যানারে রবিবার শহীদ মিনারের সামনে ১০ টা ৪০ মিনিটে যান চলাচল বন্ধসহ সকলেই ৫ মিনিটের জন্য নীরব হয়ে পড়েন। মোক্তারপাড়া জিরো পয়েন্ট থেকে শহীদ মিনার, ছোট বাজার, তেরী বাজার, থানার মোড়সহ পিনপতন নীরব থাকে। যে যেখানে ছিলেন সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়েন।
এ সময় শহীদ মিানেরর এ কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে অংশ নেন সংরক্ষিত আসনের এমপি হাবিবা রহমান শেফালী, স্বাবলম্বীর নির্বাহী পরিচালক বেগম রোকেয়া, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আনিছুর রহমান, সাহিত্য সমাজের সভাপতি কামরুজ্জামান চৌধুরী, মহিলা পরিষদের তাহেজা বেগম, মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সৈয়দা শামছুন্নাহার বিউটি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মারুফ খান অভ্র, নারী প্রগতি সংঘের মৃণাল কান্তি ও উদীচীর সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান, সম্পাদক অসিত ঘোষসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।পরে বেলা ১১টায় শহীদ মিনারের সামনে থেকে জঙ্গিবিরোধী স্লোগান নিয়ে একটি প্রতিবাদী মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
এর আগে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করেন উদীচীসহ সকল সামজিক সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দ। বেলা ১২টায় শহীদদের কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারবর্গের সঙ্গে সাক্ষাত করা হয়।
এছাড়াও বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সন্ত্রাস, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সমাবেশ ও গণজাগরণী প্রতিবাদী গণসঙ্গীতের আয়োজন রয়েছে।
এই দিনে অজহর রোডস্থ উদীচী কার্যালয়ের সামনে জমিয়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশর (জেএমবি) আত্মঘাতী বোমা হামলায় উদীচীর খাজা হায়দার হোসেন ও সুদীপ্তা পাল শেলী, মোটর মেকানিক যাদব দাসসহ ৮ জন নিহত হয়। আরও ৮২ জন আহত হয়েছিলেন। এরপর থেকে জঙ্গিবাদ ও উগ্রাবাদের বিরুদ্ধে আরও সোচ্চার হয়ে প্রতি বছর এই কর্মসূচী পালন করে আসছে নেত্রকোনাবাসী।
বিডি প্রতিদিন/কালাম