১১ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২১:২৯

পিয়াজের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে বগুড়ায়

আব্দুর রহমান টুলু, বগুড়া

পিয়াজের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে বগুড়ায়

বগুড়ায় পিয়াজের বাজারে তেমন অস্থিরতা না কাটলেও দাম কমতে শুরু করেছে। বুধবার বগুড়ার খুচরা বাজারে পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা কেজি এবং ৪০ টাকা কেজি। 

জেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে দেশীয় নতুন পিয়াজের সরবরাহ ভাল হতে থাকায় পিয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবারে পিয়াজের জন্য খরচ বাড়লেও এখন কমতে থাকবে বাজার খরচ। 

জানা যায়, বগুড়া জেলায় প্রতিবছর বেশ পিয়াজের চাষাবাদ হয়ে থাকে। কাঁচা মরিচের মত মসলা জাতীয় পিয়াজ চাষেও বগুড়ার চাষীরা এক ধাপ এগিয়ে। কৃষিপণ্য উৎপাদনে বগুড়ার মাটি আদর্শ বলে সব ধরনের সবজির ফলন ফলে হয়ে থাকে। সবজির সাথে আদা পিয়াজের চাষও ভাল হয়ে থাকে। 

বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলায় গত ২০১১ সালে স্থানীয়ভাবে পিয়াজ চাষ করা হয় ২ হাজার ৯৬৮ হেক্টর জমিতে। ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ হাজার ৭১২ মেট্রিক টন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৫ মৌসুম পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে পিয়াজ চাষ হয় এই দুই বছরে গড়ে ৩০ হাজার মেট্রিক টন করে ফলন পাওয়া যায়। পিয়াজ চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষিদের মাঝে আগ্রহ বেড়ে গেলে চাষের জমিও কিছু বেড়ে যায়। 

এদিকে, ২০১৬-১৭ মৌসুমে পিয়াজ চাষ হয় ৩ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। এর বিপরীতে ফলন হয়েছে ৩৪ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে পিয়াজ চাষ হয় ৩ হাজার ৪০০ হেক্টর। এর বিপরীতে ফলন হয়েছে ৩৪ হাজার ১০০ মেট্রিক টন। ২০১৮-১৯ মৌসুমে পিয়াজ চাষ হয় ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর। এর বিপরীতে ফলন হয়েছে ৩৯ হাজার ৯০৫ মেট্রিক টন। 

চলতি বছর প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর। এর বিপরীতে ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়ছে ৩২ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। 

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ফলনের সময় মাঠ পর্যায়ে গেলে পিয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও বাড়বে। মৌসুম শেষে ফলন দাঁড়াবে প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি অফিস আরও বলছে, বন্যা ও খড়া বাদ দিয়ে গত কয়েক বছরে বগুড়ায় পিয়াজের আবাদ বেড়েছে। ২০১৭-১৮ মৌসুমে বন্যার পানি বগুড়ার সারিকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় দেরীতে নেমে যাওয়ায় পিয়াজের ফলন কিছুটা কমে যায়। পরের বছর আবার ভাল ফলন পায় চাষিরা। 

চলতি বছর অক্টোবর থেকে চাষবাস শুরু হয়েছে। চাষিরা বলছেন, এ বছরও ভাল ফলন পাবে। এদিকে, বগুড়ায় পিয়াজের ফলন বাজারে নিয়ে কেনা বেচা তিন সপ্তাহ পার হলেও পিয়াজের দাম কিছুটা হলেও কমে এসেছে। পিয়াজের দাম কমলেও ক্রেতারা বলছেন তারপরও দাম চড়া। 

বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারের খুচরা কাঁচা মালামাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাতা পিয়াজ বুধবার বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর পাতা ছাড়া নতুন পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৭০ টাকা কেজি।  

বগুড়া শহরের রাজাবাজার আড়ৎদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও আমদানিকারক শ্রী পরিমল কুমার প্রসাদ রাজ বলেন, দেশে উৎপাদিত নতুন পিয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। বুধবার নতুন পিয়াজ পাতা ছাড়া পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। আশা করা হচ্ছে এখন পিয়াজের দাম কমবে বাড়বে না। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর