দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার প্রভাবশালীদের দখলে চলে যায় শেরপুর নকলার ঐতিহ্যবাহী নদী সুতিখালি। সুতিখালী নদীতে প্রভাবশালীরা বাঁধ দিয়ে মাছের প্রকল্প, গাছের বাগান, পুকুর খনন ও স্থাপনা তৈরি করে নদীকে প্রায় মেরেই ফেলেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে ইতিপূর্বে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দুবার। এই মরা সুতিখালিকে দখলমুক্ত করতে সোমবার থেকে যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছেন জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি, পাঁচকাহুনিয়া ও পাঠাকাটা এলাকায় সুতিখালী নদীর পাড়ের সকল অবৈধ গাছের বাগান, স্থাপনা, নদীতে গড়ে ওঠা অবৈধ মাছের প্রকল্প ও পুকুর খনন দখল মুক্ত করতে এসব ভেঙে দেওয়া শুরু হয়েছে।
অভিযানের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফায়েল আহমেদ, নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান, শেরপুরের সহকারী কমিশনার আশরাফুল ইসলাম রাসেল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম, পাঠাকাটা ইউপি’র চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাতসহ জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক এবং নদীর তীরে অগণিত উৎসুক স্থানীয় জনগন উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘদিন পরে হলেও ঐতিহ্যবাহী সুতিখালী নদীটি অবৈধ দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ। আগামী ৩ দিনে এই নদীর দখল হওয়া অন্তত ৩ কিলোমিটার পরিমাণ অংশ উদ্ধার করা হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জানিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী সুতিখালী নদীর ইতিহাস ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে অবৈধ দখলমুক্ত হওয়ার পরে, নদীটি পুণঃখননের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম