দিনাজপুরে রাত যতো বাড়ে, তীব্র ঠান্ডার পাশাপাশি বাড়ছে কুয়াশাও। এতে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ছিন্নমূল মানুষ। জেঁকে বসা শীতে চরম বিপাকে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। আবার শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা।
এদিকে, দিনাজপুরে ২৭ ডিসেম্বর রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা এবং ডিসেম্বরের শেষে মৃদু ও মাঝারি শৈত প্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।
পেটে ক্ষুধা আর গায়ে শীত নিয়ে কষ্টে আছেন বলে জানালেন দিনমজুর শ্রমিক আব্দুর রহিমসহ অনেকে। হতদরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেও মানুষের সঙ্গে বসবাসরত গৃহপালিত পশুদের অবস্থা ভয়াবহ। অতিরিক্ত ঘন কুয়াশার কারণে সকালে রাস্তায় যানবাহন চালাতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
শীতে শিশু এবং বয়স্করা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। বয়স্ক এবং শিশুদের সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. তাহরিমা হোসেন তন্নী।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ২/৩দিন এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করবে। মেঘে ঢাকা কুয়াশা থাকবে। ২৭ ডিসেম্বর রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং পরদিন থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু হয়ে শৈত প্রবাহে রূপ নিবে। এতে ডিসেম্বরের শেষে মৃদু ও মাঝারি শৈত-প্রবাহ বয়ে যেতে পারে এবং জানুয়ারি মাসেও যাবে।
এদিকে, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে রাতের আঁধারে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে হতদরিদ্রের মাঝে বলেও জানান জেলা প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত