৩য় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, এরপর লাশ মাটিতে ৪ দিন ধরে পুঁতে রাখা হয়। এমন রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জেগে উঠেছে ঠাকুরগাঁও। সুমনার লাশ উদ্ধার পর থেকে বসে নেই ঠাকুরগাঁওয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন এলাকার সমাজকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী, সংবাদকর্মী ও সুশীলসমাজসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী শিশু সুমনা আক্তার (৯) হত্যার প্রতিবাদে ৫ম দিনেও উত্তাল ঠাকুরগাঁও শহর। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তার মোড়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। বিকাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার মানুষের গণস্বাক্ষর নেয় তারা।
এর আগে, শুক্রবার ও শনিবার ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। গত রবিবার হত্যাকারী রিয়াজ আহম্মেদ কাননের কঠোর শাস্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ও ঠাকুরগাঁও পুলিশ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। রবিবার ও সোমবার রাতে জেলার বড় মাঠে শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি এবং নীরব মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় সুমনার বাবা ও মা সাথে ছিলেন।
এদিকে, জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ উপজেলায় সুমনা হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে গত সোমবার সকালে। সুমনা হত্যার ঘটনায় মূলহোতা রিয়াজ আহম্মেদ কানন, তার বাবা ইয়াসিন হাবিব কনক, মা রুকসানা বেগম ও নানা অকছেদ আলীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে জেলা শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় স্কুলছাত্র রিয়াজ আহম্মেদ কাননের বসতঘরের মাটি খুঁড়ে সুমনা হকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুমনা হক গোয়ালপাড়া এলাকার জুয়েলের মেয়ে। সে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক