টেকনাফ পৌর শহরের সড়ক ও ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা প্রায় পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কমকতা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে যত্রতত্রে ব্যবসা-বাণিজ্য গড়ে উঠেছিল। তাদের অস্থায়ীভাবে একটি জায়গা নিধারণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে পৌরকর্তৃপক্ষ তাদের বাজার নির্ধারিত করবেন।
তিনি বলেন, এসব স্থাপনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে শহরে প্রতিনিয়ত যানজট ও ময়লা-আবজনার স্তুপে পরিণত ছিল। এখন শহরটি পরিষ্কার-পরিছন্নতার পাশাপাশি সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়, পৌরসভার বিভিন্ন সড়কে মাছ, মাংস, মুরগী-তরকারি, শাক-সবজি বাজারের ময়লা-আবর্জনার স্তুপের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফল, কাপড়ে দোকান গড়ে তোলায় জনসাধারণের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়ে আসছিল।এসব ব্যবসা-বাণিজ্য সরিয়ে ফেলতে একাধিকবার মাইকিং করা হলেও স্ব স্ব উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়াই অভিযান পরিচালনা করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ ব্যবসায়ীদের অস্থায়ীভাবে বাস টামিনালে দক্ষিণ পাশে সরকারি জমিতে মাছ, মাংস, মুরগী-তরকারি,শাক-সবজি বাজারের নিধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন ও থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন-উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মুহাং আবুল মনসুর, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে টেকনাফ পৌর শহরের পুরাতন বাস ষ্টেশন, উপরের বাজার, লামারবাজার, থানা রোড ও টিঅ্যান্ডটি রোডের আশেপাশে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে এসব স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, পৌরকর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে ইজারার উসুল আদায় করলেও স্থাপনা তৈরি করে দিয়ে মাসিক ভাড়া আদায় করতে পারেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটন এলাকা হিসেবে টেকনাফের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য প্রতিটি দোকানের সামনে রকমারি গাছের টপ বসানো হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ