শিরোনাম
২১ জানুয়ারি, ২০২০ ২২:০০

গুরুদাসপুরে ৭ মাসে ৫৬ বাল্যবিয়ে বন্ধ

নাটোর প্রতিনিধি:

গুরুদাসপুরে ৭ মাসে ৫৬ বাল্যবিয়ে বন্ধ

বাল্য বিবাহ ও ইভটিজিং প্রতিরোধে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। ইউএনও’র বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে শিক্ষার্থীসহ উপজেলার নানা শ্রেণী পেশার মানুষ এখন বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং প্রতিরোধ করতে সুদৃঢ় ভূমিকা রাখছে।

বাল্যবিবাহ ও ইভটিজিং প্রতিরোধে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ন স্থানে দেওয়া হয়েছে বিলবোর্ড। দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিফলেট, করা হচ্ছে বাল্য বিবাহ ও ইভটিজিং প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পিঠা উৎসব এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থাপনায় নাটিকা। ইতিমধ্যেই সারা ফেলেছে ইউএনও তমাল হোসেনের এসকল কার্যক্রম। যোগদানের ৭ মাসের মধ্যেই ৫৬ টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন এবং ইভটিজারদের ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতরে মাধ্যমে জেল-জরিমানা করেছেন এই কর্মকর্তা। 

এ সবই সম্ভব হচ্ছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে নেওয়া ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে। কখনও তিনি বরযাত্রী সেজে, কখনও তিনি কনে যাত্রী সেজে বাল্যবিয়ে পণ্ড করেছেন। তাছাড়াও বিলবোর্ড এবং লিফলেটে দেওয়া নম্বরে ফোন কলের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বন্ধ হচ্ছে বাল্যবিয়ে ও ইভটিজিং।  

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পৌর সদরের বেগম রোকেয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে দেওয়া হয় বাল্যবিয়ে ও ইভটিজিং প্রতিরোধে ইউএনও’র নম্বর সম্বলিত লিফলেট, তাছাড়াও স্কুলের সামনেই দেওয়া হয়েছে বিলবোর্ড। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেন বলেছেন, শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতেই আমার এই আয়োজন। প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন ঘটনা ঘটার সাথে সাথেই অভিযোগ করতে পারে তার জন্য সকল জায়গায় লিফলেট, প্রচার মাইকিং, বিলবোর্ডসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক সভা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে উপজেলার সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাল্যবিবাহ এবং ইভটিজিং প্রতিরোধ বিষয়ক বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর