করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে মিনি থার্মাল স্ক্যানার আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ভবনের সামনে বসানো মেডিকেল ডেস্কে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের পরীক্ষা করা শুরু হয়। এই স্ক্যানার দিয়ে এক মিটার দূর থেকেই যাত্রীর শরীরের তাপমাত্র মাপা যাবে। আগে শুধুমাত্র থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপ দিয়ে কাজ করেন মেডিকেল ডেস্কের কর্মীরা।
জানা গেছে, চীনে মহামারী আকার ধারণ করার পর করোনাভাইরাস ঠেকানোর উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। দেশের সবকটি বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরে বসানো হয় মেডিকেল ডেস্ক। গত ২৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টেও এই মেডিকেল ডেস্ক বসানো হয়। থার্মাল স্ক্যানার না থাকায় যথাযথভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা যেত না। শুধুমাত্র থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপ দিয়েই এতদিন কাজ চালিয়েছেন মেডিকেল ডেস্কের কর্মীরা। মূলত কোনো যাত্রী সম্প্রতি চীন ভ্রমণ করেছেন কি-না এবং যদি করে থাকেন তাহলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মেডিকেল ডেস্কে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম জানান, সকাল থেকে মিনি থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষার কাজ চলছে। এই স্ক্যানার দিয়ে এক মিটার দূর থেকেই যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা মাপা যাবে। যদি কোনো যাত্রীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি পাওয়া যায় তাহলে স্বাস্থ্যগত কিছু বিষয়ে প্রশ্ন করে তার রোগ নির্ণয় সহজ হবে এবং তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
এদিকে, জেলায় অবস্থানরত প্রায় তিন শতাধিক চীনা নাগরিকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে গঠন করা হয়েছে একটি কমিটি। তবে জেলায় এখনো পর্যন্ত করোনাভাইরাস আক্রান্ত কেউ শনাক্ত হয়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সার কারখানায় যেসব চীনা নাগরিক কর্মরত আছে তাদের তালিকা তৈরিসহ তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই কমিটির সদস্যরা কর্মরত চীনা নাগরিকেদর মধ্যে জ্বর, কাশি ও শ্বাস কষ্টজনিত কোনো উপসর্গ রয়েছে কিনা সেগুলো যাচাই করে দেখছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো উপসর্গ তাদের মধ্যে পাওয়া যায়নি।
তবে সম্প্রতি একজন চীন থেকে আসায় তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তার মধ্যেও করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক হবার কিছু নেই বলে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন