নেত্রকোনার কলমাকান্দায় বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা দিতে গেল নাদিয়া সুলতানা নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। এ ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের চৈতা গ্রামে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোররাতে বাবা মো. আব্দুল কাদির মারা যাওয়ার পর সহপাঠী ও তার মামা আব্দুল মতিনের সহযোগিতায় ওই ছাত্রী কলমাকান্দা পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইংরেজি ১ম পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। স্কুলজীবনের প্রতিটি পরীক্ষাতেই বাবার হাত ধরে যেত নাদিয়া, কিন্তু বিধির অমোঘ বিধানে বাবার লাশ বাড়িতে রেখেই কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে যেতে হল নাদিয়ার। পরীক্ষার হলে গিয়ে ছাত্রীটি বাম হাতে চোখ মুছে আর ডান হাতে কলম ধরে। এভাবেই বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়েছে নাদিয়াকে। পরীক্ষা শেষে নাদিয়া বাড়িতে গিয়ে বাবাকে শেষ বারের মত দেখে চোখের জলে চিরবিদায় জানায়। পরে জানাজা শেষে নিহতের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রংছাতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, নাদিয়া সুলতানা আমাদের বিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার ভোরে তার বাবা মো. আব্দুল কাদির মারা যান। তিনি পেশায় ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তিনি তার মেয়ে নাদিয়াকে নিয়ে প্রায় সমই বিদ্যালয়ে আসতেন। তাছাড়া প্রতিটি পরীক্ষাতেই নাদিয়া তার বাবার হাত ধরে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করত।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন