কিশোরগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ছমিরউদ্দিনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পাকুন্দিয়া উপজেলার সৈয়দগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত ইজ্জাত আলীর ছেলে।
কিশোরগঞ্জের তৃতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রদীপ কুমার রায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ঘটনার আট বছর পূর্বে ছমিরউদ্দিনের সঙ্গে সৈয়দগাঁও গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে মর্জিনা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের তিন বছর পর মর্জিনা চাকরির উদ্দেশ্যে লেবানন চলে যান। সেখান থেকে প্রতি মাসে স্বামীর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। কিন্তু ছমিরউদ্দিন সেই টাকা যথেচ্ছভাবে খরচ করত। বিষয়টি টের পেয়ে মর্জিনা টাকা পাঠানো বন্ধ করে দেন। ২০১৭ সালের ১২ জুলাই মর্জিনা ছুটি নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এর দুদিন পর সকালে মর্জিনা প্রতিবেশীর বাড়িতে গেলে সেখানে ছমিরউদ্দিন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। কিছুক্ষণ পর মর্জিনা তার বাবার বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার সময় ছমিরউদ্দিন এসে ধারালো ছুরি দিয়ে মর্জিনাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। মর্জিনাকে দ্রুত পাকুন্দিয়া হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর ছমিরউদ্দিন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ পাকুন্দিয়া থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
এ ব্যাপারে নিহতের পিতা পাকুন্দিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শেষে ছমিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ছমিরউদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল