নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বড়দিয়ায় এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে নকল সরবরাহের চেষ্টাকালে বিঘ্ন সৃষ্টির অপরাধে এক শিক্ষকসহ চারজনকে একমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিবুল আলম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন উপজেলার নড়াগাতী থানার তালবাড়ীয়া গ্রামের অমিত দাসের ছেলে অসিত দাস (২৫), মন্টু দাসের ছেলে স্বরজিৎ দাস (২৩), খাশিয়াল গ্রামের আকমান বিশ্বাসের ছেলে বড়দিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক মো. আশিকুজ্জামান (৩৪)ও পাটনা গ্রামের সাধন চক্রবর্তীর ছেলে মিঠুন চক্রবর্তীকে(২৪)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার বড়দিয়া মুন্সি মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এসএসসির সাধারণ গণিত পরীক্ষা চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে অমিতের ফটোস্ট্যাট ও কম্পিউটারের দোকানে গণিত প্রশ্নের উত্তরপত্রসহ তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। তারা ঐ উত্তরপত্র সরবরাহ করার চেষ্টায় ছিলো। পরে দুপুরে তাদের প্রত্যেককে একমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া নড়াগাতির ডুমুরিয়া গ্রামের সজীব শেখ (২৫) নামে এক যুবককে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিবুল আলম বলেন, অভিযুক্তদের কাছে গণিতের যে প্রশ্ন পাওয়া গেছে, তা প্রিন্ট করা কপি। ধারণা করা হচ্ছে, পরীক্ষার হল থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কে বা কারা এই প্রশ্ন কম্পিউটারের দোকানে পাঠিয়েছিল। পরে তা প্রিন্ট করে সমাধান পূর্বক কেন্দ্রে পাঠানোর চেষ্টা চলছিল। নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন জানান, দণ্ডপ্রাপ্তদের নড়াইল জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক