মিসকলের সুত্র ধরে প্রেম, অতঃপর বগুড়ায় এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে গাজীপুরের এক কিশোরী। দুই স্ত্রী থাকার পরেও মুঠোফোনে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে অন্যের সিম ব্যবহার করে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে বগুড়ার এক যুবক। এ ঘটনায় ঐ যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং ওই কিশোরীকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করেছে।
অভিযুক্ত ধর্ষক মাফিউল ইসলাম স্বপন (২৫) গতকাল শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। সে বগুড়া সদর উপজেলার বাঘোপাড়া সুলতানপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।
নাম পরিচয় গোপন করে অন্যের নামে সিম ব্যবহার করে ঐ কিশোরীর সাথে মুঠোফোনে প্রেম করেছিল স্বপন। তার আরও ২ টি স্ত্রী আছে। ধর্ষনের শিকার কিশোরীকে তার বাবা’র কাছে হস্তান্তর করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, গাজিপুর জেলার জয়দেবপুর থানার অষ্টম শ্রেণির সহজ সরল কিশোরী মোবাইলে মিসকলের সূত্রে প্রেমে পড়েছিল বগুড়ার শুভ ওরফে স্বপনের। কয়েকমাস কথাবার্তা হওয়ার পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্কুলের নাম করে গাজিপুর থেকে বগুড়ায় আসে কিশোরী। বগুড়া এসে মাটিডালি মোড়ে দেখা হওয়ার পর মেয়েটাকে নিয়ে মহাস্থানগড় নিয়ে যায় স্বপন। সন্ধ্যার পর কিশোরীকে প্রেমিক স্বপন তার বাড়ির পাশের জঙ্গলের ভিতরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সরকারি হাসপাতালে যেতে বললে সেই কথিত প্রেমিক মেয়েটিকে মাটিডালি মোড়ে রেখে পালিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত ধর্ষক শুভ ওরফে স্বপন। ঐ দিন সন্ধ্যায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে। কিশোরীকে বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সদর থানা ও ফুলবাড়ী ফাঁড়ির পুলিশ অভিযানে অংশগ্রহন করে।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ