বগুড়ার নন্দীগ্রামে এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় দমদমা দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরা টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকা না দিতে না পারায় এক পরীক্ষার্থীকে মারধর করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়াও অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৫০ টাকা করে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও ছাত্র মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় দমদমা দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা জানায়, লিখিত পরীক্ষার শেষ দিনে ২২ ফেব্রুয়ারি ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও মানবিক শাখায় ৩০০ টাকা করে নিয়ে যেতে বলা হয়। টাকা না দিলে ফেল করিয়ে দেওয়া হতে পারে এমন হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। বাধ্য হয়ে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা শুরুর আগেই শিক্ষকদের কাছে ওই টাকা জমা দেয়। এদিকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান শাখার সিহাব উদ্দিন ও মানবিক শাখার বিথিন কুমার ব্যবহারিক পরীক্ষার টাকা দিতে না পারায় তাদেরকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি দমদমা দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থী সিহাব উদ্দিন বলেন, ৩০০ টাকা দিতে না পারায় আমাকে প্রধান শিক্ষক বেদম মারপিট করে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছে। পাশাপাশি মানবিক শাখার বিথিন কুমারকে পরীক্ষাও দিতে দেয়নি।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম দমদমা দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান জানান, ৩০০ টাকা নয়, কেন্দ্র খরচের জন্য প্রতি বিষয়ে ৫০ টাকা করে ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে বিথিন কুমার স্কুলে এসে বাড়িতে চলে গেছে। সে কি কারণে পরীক্ষা দেয়নি তা আমি জানি না এবং সিহাবকে মারপিট করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. শারমিন আখতার বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব