ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪ পরিবারে কান্না থামছে না। মরদেহগুলো গ্রামে পৌঁছার পর হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। পরে দু’দফা জানাজা শেষে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। 

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- উপজেলার বিলডোরা ইউনিয়নের রহেলা গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২০) ও নজরুল ইসলামের ছেলে সাকিব (২০) এবং একই ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের সোহাগ মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান (২৫)। এছাড়া একই উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের বাঘমার গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে সজিব (১৮)। নিহতরা সবাই ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সার যাত্রী ছিলেন। 

দুর্ঘটনায় নিহত বাঘমার গ্রামের সজিবের মা আনোয়ারা খাতুন বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। তাদেরকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা যেন হারিয়ে ফেলেছেন গ্রামবাসীও। অন্যদিকে অকালে চলে যাওয়া আরিফুলের বাবা নূর ইসলাম অনেকটাই বাকরুদ্ধ। শুধু ফ্যালফ্যাল করে চেয়েছিলেন বাড়িতে আসা মানুষের মুখের দিকে। নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মা নাড়িছেড়া সন্তানের কথা মনে করতেই মাটি চাপড়ে বার বার অচেতন হয়ে পড়ছেন। 

স্থানীয়রা জানান, নিহতরা সবাই একে অপরের বন্ধু ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী। হঠাৎ তাদের চলে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে ৩ গ্রামের মানুষের। 

আজ বেলা ২ টার দিকে জানাজায় ও নিহতদের বাড়িতে স্বজনদের শান্তনা দিতে যান হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ) সৈয়দ এমরান সালেহ্ প্রিন্স, ফুলপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশার আকন্দ, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আলী আজগর, যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্জ সালমান ওমর রুবেল,  ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আরো অনেকে। এ সময় উপজেলা প্রশাসন ও জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পক্ষ থেকে নিহত ও আহতদের প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।   

প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেলে রঘুনাথপুর নামকস্থানে ঢাকাগামী বাসের সাথে আলিশা বাজার থেকে ছেড়ে আসা ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সার সংঘর্ষে নিভে যায় চারটি তরতাজা প্রাণ। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল