পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্ট্রান, পাহাড়ি সাথে সম্প্রীতি বাজায় রাখতে মুসলমানদের দায়িত্ব বেশি, যেহেতু তারা সংখ্যায় বেশি। দেশের স্থিতিশিলতার জন্য সকলে মিলে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করাটা খুবই জরুরি। কারণ সম্প্রদায়িক গণ্ডগোল লাগলে কেউ রক্ষা পায় না। অতীতে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষ দেশ ছেড়ে, ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আর যেন এই দুর্দশার সৃষ্টি না হয়।
রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের বিশম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের হাজি আব্দুল মজিদ পাকলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত সুবর্ণজয়ন্তি উৎসবে প্রধান অতিথি অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা তিনি বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে একটি আধুনিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ উপহার দিতে চাচ্ছেন। আমাদেরকে এ জন্য তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। দেশের উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে লালন করতে হবে। শিক্ষা, খাদ্য, বিদ্যুৎ, পানির সমস্যা থেকে উত্তোরণ হচ্ছে। আগের বাংলাদেশ নয়, আমরা একটি শিক্ষিত বাংলাদেশ চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলের হুইপ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, আমাদের এখানে গুণগত শিক্ষার অভাব রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকের চরম সংকট। অথচ সন্তানের গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত না করতে পারলে অন্ধকার দূর করা সম্ভব নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অবকাঠামোর কোন সংকট নেই। আমাদের শিক্ষার মানের সংকট রয়েছে, রয়েছে শিক্ষক সংকটও। এই অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণ করা প্রয়োজন। না হয় বড় বড় ভবনগুলো কোনো কাজেই আসবে না।
বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত উৎসবে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষক মো: আব্দুল মজিদের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন খনিজ ও জ্বালানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো: জিল্লুর রহমান চৌধুরী, জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, বিশম্ভরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সফর আলি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমীর বিশ্বাস প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন