নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার মাদক বিক্রেতা ও মাদকাসক্ত সন্তানের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাবা মোবারক উল্যাহ ও মা পেয়ারা বেগম। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সহিদ উদ্দিন এস্কেন্দার কচি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ সময় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমের বড় ভাই প্রবাস ফেরত মো. জসিম উদ্দিন, তার স্ত্রী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোবারক উল্যাহ্ অভিযোগ করে বলেন, তার ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মাদক বিক্রি ও সেবনসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে থানায়, কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। নিজের নামে সোনাইমুড়ি উপজেলার ছনগাঁও গ্রামে ১০০ শতাংশের বেশি সম্পত্তি ছিল। কিন্তু ছোট ছেলেকে ভালো করতে এবং তার অত্যাচার থেকে বাঁচতে এ পর্যন্ত তাকে অর্ধেকেরও বেশি সম্পত্তি দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও তার অত্যাচার থেকে মুক্তি মিলছে না। স্থানীয় আরেক মাদক ব্যবসায়ী এক ব্যক্তিসহ প্রায় সময় জাহাঙ্গীর বাড়িতে ইয়াবার ব্যবসা করে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে সে তারই প্রবাস ফেরত বড় ভাই জসিম উদ্দিনের ঘর দখল করে রেখেছে। তার বাড়ি ও বাইরের ২১ শতাংশ কেনা সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছে। সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩০-৩৫জন সন্ত্রাসী নিয়ে বাবা-মা ও ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। পুলিশ এসেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তার অত্যাচার থেকে বাঁচতে প্রবাস ফেরত বড় ছেলে দূতাবাসের মাধ্যমে দেশে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পায়নি। তিনি নিজেও বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দিয়েছে, কিন্তু এর কোনো প্রতিকার পায়নি।
ফলে বাধ্য হয়ে তিনি প্রতিকারের আশায় এ সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। মাদক বিক্রেতা সন্তানের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ষাটোর্ধ্ব বাবা মোবারক উল্যাহ্। এ বিষয়ে সোনাইমুড়ি থানার ওসি আবদুস ছামাদ জানান, জাহাঙ্গীরের বিষয়ে পারিবারিক কিছু অভিযোগ আছে, মাদকের বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক