কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরে একদল যুবক নিজেদের কোথাও পুলিশের আবার কোথাও ডিবি পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে আসছিলো। অবশেষে সেই প্রতারক পুলিশের প্রধানসহ দুইজন আটক হয়েছে।
প্রতারণার শিকার হওয়া মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদি হয়ে মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত কার্ড ও খেলনা পিস্তল ব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
আটকরা হলেন- চকরিয়া পৌরসভার কোচপাড়ার মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে রুহুল আমিন প্রকাশ কাদের (৪০) ও পৌরসভার ভাঙ্গারমুখের বাসিন্দা টুকু ড্রাইভার (৪৫)।
রিয়াজ উদ্দিন তার লিখিত এজাহারে দাবি করেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি চকরিয়া পৌরশহরের কাসপা হোটেলের নিচে একটি হার্ডওয়ারের দোকানের সামনে দাঁড়ালে হঠাৎ তিন ব্যক্তি আমাকে ঘেরাও করে। এসময় তারা আমাকে নানা অপকর্মে জড়িত বলে ধমক দিয়ে বলে আমরা পুলিশের লোক। তাদের মধ্যে কাদের নিজেকে পুলিশ অফিসার দাবি করে জোরপূর্বক ভেন্ডিবাজারস্থ একটি টমটম গ্যারেজে ডুকিয়ে জিম্মি করে রাখে। পরে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত একটি পিস্তল ধরে ব্যাপক মারধর করে। পরে আমার ভাই মাওলানা ওয়াজদ্দীনের কাছ থেকে মুঠোফোনে বিকাশ নাম্বার দিয়ে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এর আগে পকেটে থাকা দেড়হাজার টাকা তারা নিয়ে নেয়। পরে আমি কৌশলে জিম্মিদশা থেকে পালিয়ে এসে ভাইকে ফোন করি এবং স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।
এজাহারটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করে প্রতারক চক্রকে ধরতে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযানে নামে।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বাদি একজনের নাম উল্লেখপূর্বক পুলিশ পরিচয় দেয়া প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা করলে সোমবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক প্রধান রুহুল আমিন প্রকাশ কাদেরকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল ও পুলিশের মনোগ্রামযুক্ত একটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে আরও দুইজনের নাম প্রকাশ পেলে পৃথক দুই বাড়িতে অভিযান চালানো হয় রাতে। এসময় ভাঙ্গারমুখ গ্রামের বাড়ি থেকে টুকু ড্রাইভারকে আটক করা হয়। অপরজন পলাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পলাতক একজনসহ আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম