বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার হুমকি দেওয়ায় অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ওই ছাত্রী।
জানা গেছে, গত শনিবার বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে সর্বশেষ দল বেঁধে হুমকি দেয় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান সৈকত, বেলাল ও রুবেল ওরফে কালা রুবেল। সেদিনের পর থেকেই বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয় ওই ছাত্রী। এ ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) মো. সাইদ আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি দল। বিদ্যালয়ে উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জবানবন্দিতে প্রাথমিকভাবে বখাটেদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এ বিষয়টি কঠোরভাবে দেখবেন বলে জানান তদন্ত ওসি মো. সাইদ আমম্মেদ।
এসময় সেখানে গিয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে না পেয়ে তার বাড়িতে যান এই পুলিশ কর্মকর্তা। সরেজমিনে গিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কিশোর গ্যাং সৈকতের অনুসারী বেলাল, সাকিব, আসাদ, আমিনুল, রাজু, রুবেল, তুহিন ওরফে রনি, ইব্রাহিমসহ তাদের অনুসারীদের কারণে তারা স্কুলে আসতে ভয় পায়। প্রতিদিনই বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে সুন্দরী মেয়ে দেখলেই প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে সাড়া না দিলে ইভটিজিং করে এবং অশালিন কথাবার্তা বলে। এর আগে কয়েকজন ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় কাইফি ও ইমন নামে দুই ছাত্রকে মারধর করা হয়। এনিয়ে একাধিকবার সালিশি ব্যবস্থা করে মিলিয়ে দেয়া হয়। পুনরায় মারধর করে তাদের হাত কেটে ফেলারও হুমকি দেয়। এ কারণে সকল শিক্ষার্থীরাই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
প্রধান শিক্ষক মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রীকে ইভটিজিং করে সৈকত, রুবেল ওরফে কালা রুবেলসহ একাধিক বখাটে। বখাটেরা স্থানীয় হওয়ার কারণে গোলাপ ফুল দিয়েও বখাটেদের বুঝাতে চেষ্টা করি। তাতেও কোন কাজ হয়নি। ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কিছুক্ষণ পরেই ওরা আবারো আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে এবং গত শনিবার এক ছাত্রীকে এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেয়। যার কারণে ওই ছাত্রী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক