বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের দুই কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছেন তিন সতীন ও তাদের এক মেয়ে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সাবেক সহকারি সেটেলমেন্ট অফিসার বিমল বিশ্বাস ও সার্ভেয়র মনোজ কুমারকে মারপিট করেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের এর তিন স্ত্রী মরিয়ম বেগম, রাজিয়া বেগম, সুলতানা বেগম ও মেয়ে রহিমা বেগম।
অভিযোগে জানা যায়, ঐ তিন নারী ও তাদের মেয়ে ওই দুই কর্মকর্তাকে চড়থাপ্পড়সহ এক পর্যায়ে অফিস কক্ষের বাইরে নিজেদের পায়ের জুতা দিয়েও মারপিট করেন। অফিস চলাকালীন পেশকার আব্দুল জলিলের কক্ষে ও কক্ষের সামনে রাস্তায় প্রকাশ্যে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের এসআই দিপঙ্কর ও এস আই কামাল ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রাজিয়া বেগম বলেন, আমাদের ৬ শতক জমির রেকর্ড অন্যের নামে দিয়ে দিয়েছে। আমাদের নিকট থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা ঘুষও নিয়েছিল। পরে আমাদেরকে না জানিয়ে অপর পক্ষের নিকট থেকে বেশি টাকা নিয়ে তাদের নামে রেকর্ড় দিয়েছে।
তবে লাঞ্ছিত সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা বিমল বিশ্বাস বলেন, আমি অন্যায় কিছু করিনি। তদন্ত সাপেক্ষে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে রায় দেওয়া হয়েছে। বিমল বিশ্বাস গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মোরেলগঞ্জ থেকে দেভাটায় বদলি হয়েছেন। আজ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে মোরেলগঞ্জ সেটেলমেন্ট অফিসে গেলে ওই নারীরা তাকে আক্রমণ করেন। ঘটনার পরে তিনি দ্রুত মোরেলগঞ্জ ত্যাগ করেন।
লাঞ্ছিত সার্ভেয়র মনোজ কুমার বলেন, মৃত আবু তাহের এর শরীকরা অন্যায়ভাবে আমার ওপর চড়াও হয়েছেন। তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সম্পর্কে মোরেলগঞ্জ সেটেলমেন্ট অফিসের বর্তমান সহকারি সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমি কক্ষে পৌঁছানোর পূর্বেই ঘটনাটি ঘটেছে। এটা খুবই দুঃখজনক। অফিসের সম্মান ও নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে খুলনা জোনাল সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা কালাচাঁদ সিনহা বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। বিমলকে আগেই মোরেলগঞ্জ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ সে ওখানে গেছে তা আমার জানা নেই। জানলে যেতে দিতাম না। হয়তো ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে গেছে। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক