কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন। বহস্পতিবার ভোররাতে টেকনাফের শামলাপুল মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সমুদ্র সৈকত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় র্যাবের তিন সদস্য আহত হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫-এর টেকনাফ ক্যাম্পের সিপিসি-১ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব (বিএন) ।
নিহত ডাকাতরা হলো টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের নুর আহমদের ছেলে নুর কামাল (৩২) প্রকাশ ডাকাত সোনাইয়া ও মুচনি ক্যাম্পের আবদুস শুক্কুরের ছেলে সাইফুল ইসলাম সোহেল (৩৪) প্রকাশ ডিবি সাইফুল। তারা দুজনই সাত বছর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এখানে আশ্রয় নেয়।
র্যাবের ভাষ্যমতে, নিহত দুজনই ক্যাম্পের ত্রাস কুখ্যাত ডাকাত জকিরের সহযোগী এবং অস্ত্র ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পোশাক সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের ৩০ নভেম্বর ক্যাম্পে মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে তাদের হাতে র্যাবের দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছিল।
টেকনাফ র্যাবের ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রোহিঙ্গা ডাকাত নুর কামাল ও সাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি বন্দুক, ছয়টি গুলি, পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ, দুটি আইডি কার্ড এবং ৪০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে। মাদক, সন্ত্রাস ও ডাকাতদের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের মে থেকে মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর কক্সবাজারে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। গত ১১ মার্চ পর্যন্ত মোট ৭৭ জন রোহিঙ্গা বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে পুলিশের অভিযানে ৩১, বিজিবির অভিযানে ২২ এবং র্যাবের অভিযানে ২৪ জন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা