ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর এক মাস ১৯ দিন পর কবর থেকে ইয়াকুব ভূঁইয়ার (৬৫) মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের দগরীসার কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে নিহতের লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস, আশুগঞ্জ থানার এসআই সুমন চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ইয়াকুব ভূঁইয়া একই এলাকার মৃত আব্দুল হেকিম মিয়ার ছেলে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার সাদির ভূঁইয়ার সাথে ইয়াকুব ভূঁইয়ার দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। গত বছরের ৩০ নভেম্বর রাতে দু’পক্ষের লোকজনের সাথে বসে মীমাংসার জন্য ডাকেন ইউপি সদস্য নূরে আলম। মীমাংসা শেষে সাদির মিয়া ও তার লোকজন ইয়াকুব ভূঁইয়ার ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়ে ইয়াকুব মিয়া ও তার ছেলেকে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইয়াকুব মিয়া ও তার ছেলেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইয়াকুব ভূঁইয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণকরেন। সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পর চিকিৎসকরা তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে আসার পর ২৩ জানুয়ারি সকালে ইয়াকুব ভূঁইয়া মৃত্যুবরণ করেন।
এই ঘটনার ২৮ দিন পর নিহতের চাচা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে সাদির ভূঁইয়াসহ ১০ জনকে আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতের বিচারক লাশের ময়না তদন্তের জন্য কবরস্থান থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে নিহত ইয়াকুব ভূঁইয়ার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাশ জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা প্রতিবেদন আদালতের কাছে পাঠাব।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক