পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে ট্রলারে আসা লোকজনকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোয়ারেন্টাইনে নিতে গিয়ে সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ ৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে একটি ভাড়া করা ট্রলারে করে উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী এলাকার কিছু লোক বলদিয়া ইউনিয়নে আসে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহিন মিয়া প্রশাসনকে জানায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আবদুল্লা আল মামুন বাবু ওই লোকদেরকে একটি বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। নির্দেশ পেয়ে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ১৮ জনকে ইউনিয়নের কাটাপিটানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে নিয়ে যায় ইউপি চেয়ারম্যান। এসময় ইউপি সদস্য সুখলাল ঢালী ও রনজিত বেপারীর নেতৃত্বে স্থানীয়রা বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন মিয়া ও পুলিশের উপর চড়াও হয়। এলাকার কয়েকশ' মানুষ লাঠিসোটা নিয়ে চেয়ারম্যান ও পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। হামলায় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা, পুলিশ সদস্য তাজেল, আল মামুন, ইউপি সদস্য মো. সুমন ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক মাসুম বিল্লাহ আহত হয়। ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক গোলাম মোস্তাফার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেন হামলাকারীরা।এ বিষয় থানার অফিসার ইনচার্জ মো.কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বর্তমান সময় বাইরে থেকে লোক আসায় মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করে বলেই তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছু না বুঝেই কাটাপিটানিয়া গ্রামের মানুষকে চটিয়ে দিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান জানান, বাইরে থেকে আসা মানুষদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা নিয়ে ঘটনায় ২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। হামলার বিষয়ের চেয়ে বাহির থেকে আসা মানুষগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা ও তাদের প্রয়োজনীয় খাবারের বিষয়টি গুরুত্ত্ব দেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ