মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মালশাদহ গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় চম্পা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা সন্দেহ তৈরী হয়েছে পুলিশের।
নিহত চম্পা খাতুন গাংনী পৌর সভার মালশাদহ গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার জুয়েল হোসেনের স্ত্রী। জুয়েল হোসেন বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (জরুরী বিভাগে কর্মরত) চিকিৎসক তরুরাজ জানান, চম্পা খাতুনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়েছে। তার গলায় ও কপালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার স্বামীর জুয়েলের শরীরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের স্বামী জুয়েল হোসেন বলেন, বুধবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে একদল দুস্কৃতিকারী আমার বাড়িতে এসে ডাকাতি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি বাঁশবাগানের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। আমি তাদের ঠেকাতে গেলে আমাকেও কুপিয়ে আহত করে দুস্কৃতিকারীরা।
গাংনী থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওবাইদুর রহমান জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তর জন্য লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর হয়েছে। তবে তিনি হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, জুয়েল হোসেনের পাশের রুমেই তার অন্যান্য ভাইয়েরা বসবাস করলেও ডাকাতী বা হৈ চৈ শুনতে পেলেন না। বিষয়টি ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়েছে। তবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ