বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল পরিমাপে কম দেয়ায় র্যাবের হাতে আটক ২ ইউপি সদস্যকে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হালদারের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এই দণ্ডাদেশ দেন। অপরদিকে একই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম বেপারীর বাড়ি থেকে সরকারী ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান ও তার দুই ভাইসহ ৪জনের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা করেছে র্যাব।
জেলেদের চাল পরিমাণে কম দেয়ার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. জাকির হোসেন এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. রোকনুজ্জামান। তাদের আজ বিশেষ ব্যবস্থায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-৮’র অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা এএসপি মুকুর চাকমা জানান, অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালীন ২ মাসের জন্য জেলেদের প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। বাবুগঞ্জের কেদারপুর ইউনিয়নে ৪৪৫জন জেলে এই খাদ্য সহায়তার জন্য তালিকাভূক্ত। কিন্তু ওই ইউনিয়নে জেলেদের ৪০ কেজির স্থলে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে গত বুধবার রাতে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইউপি সদস্য জাকির এবং রোকনকে আটক করে।
পরে তাদের প্রত্যেককে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বলে জানান জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
এদিকে র্যাব-৮ সদস্যরা একই রাতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীর বাড়ি অভিযান চালিয়ে সরকারি ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধার করে। অভিযান টের পেয়ে চেয়ারম্যান ও তার দুই ভাই পালিয়ে যায়। জব্দকৃত চাল থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে চেয়ারম্যান নূরে আলম ও তার দুই ভাই যথাক্রমে মো. শাহে আলম ও মো. সামছুল আলম এবং ডিলার মো. সেন্টু খাঁনের বিরুদ্ধে বাবুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা