করোনা সংক্রমন এড়াতে বরিশালে লকডাউন ঘোষণার ৪র্থ দিনেও নান অজুহাতে রাস্তায় বের হয়েছেন অনেক মানুষ। কেউ পারিবারিক প্রয়োজনে, কেউ অফিসের চাপে এবং কেউ জরুরি কাজে আবার কেউ কেউ নানা অজুহাতে রাস্তায় বের হন।
এদিকে বরিশালের অনেক বাজার খোলা জায়গায় স্থানান্তর করা হলেও নগরীর পোর্ট রোড ইলিশ মোকামের চিত্র আছে প্রায় আগের মতোই।
বৃহস্পতিবার ৪র্থ দিন সকালেও হাজার মানুষের ভিড় হয় এই বাজারে। যদিও মানুষকে ঘরে রাখা নিশ্চিত করতে এলাকাভিত্তিক বাজারের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক।
গত ১২ এপ্রিল বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর দেহে প্রথমবারের মতো করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রামন এড়াতে ওই দিন রাতেই এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন নগরী সহ পুরো জেলা লকডাউন ঘোষনা করে।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান বলেন, নিজেদের সুস্থ থাকার প্রয়োজনেই জনগণের ঘরে থাকা উচিত। তারা বারবার জনগণকে ঘরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
জনসমাগম এড়াতে নগরীর পোর্ট রোডের ইলিশ বাজারসহ অন্যান্য বাজার খোলা জায়গায় স্থানান্তরসহ এলাকাভিত্তিক বাজারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার