বগুড়ার সোনাতলায় আতঙ্কের মধ্যেও থেমে নেই জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, চুরি ছিনতাই খুনসহ অসামাজিক কার্যকলাপ। করোনার মধ্যেও বৃদ্ধি পেয়েছে এই ঘটনার।
জানা যায়, সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের মানুষ যখন করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে ঘরবন্দি হয়ে দিনাতিপাত করছেন ঠিক সেই মুহূর্তে সোনাতলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১১ এপ্রিল উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়ায় এক কলেজ ছাত্র খুন হয়। একই দিনে সোনাতলা সদর ইউনিয়নের চকনন্দন গ্রামে ছাগল লাউ গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিটে আরো এক ব্যক্তি খুন হয়। এছাড়াও একই গ্রামে গত জানুয়ারি মাসে এক স্কুলছাত্র ঘাস কাটাকে কেন্দ্র করে খুন হন।
এদিকে, উপজেলার বারঘরিয়া, সুজাইতপুর, চকনন্দন, বিশ্বনাথপুর, মধুপুর, তেকানী কাচারীবাজার, শ্যামপুর, আচারেরপাড়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বেশ কিছু মানুষ গুরুতর আহত হয়। এছাড়াও হাটকরমজা গনসারপাড়া, কিনিয়ামারা, কুচিয়ামারী, কর্পূর, বালুয়া সড়কে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে কয়েকজন মানুষ। উত্তর করমজা গ্রামের এক পল্লী চিকিৎসক ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে গত রবিবার খুন হয়।
গত ১ মার্চ ঠাকুরপাড়া মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে শফিকুলের অটোভ্যান, কোড়াডাঙ্গা জাহিদুলের ৫টি বিদেশি গরু চুরি, শ্যামপুর এলাকায় শ্যালো মেশিন চুরির ঘটনা।
গত ১৩ এপ্রিল রাতে বগুড়ার সোনাতলা থানা পুলিশ ৯টি চোরাই গরুসহ ৫ ব্যক্তিকে আটক করেছে। পৌর এলাকার কাবিলপুর ম্যাচ ফ্যাক্টরি মোড় থেকে একটি ভটভটি ও ৯টি গরু সহ ৫ ব্যক্তিকে আটক করে। আটকরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অল্প সংখ্যক পুলিশ সদস্য দিয়ে প্রায় দুই লাখের বসতিপূর্ণ সোনাতলা উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা খুবই কঠিন কাজ। এরপরও পুলিশ যেখানে যে ঘটনা ঘটুক না কেন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত