কক্সবাজারের টেকনাফর বাহারছড়া মেরিন ড্রাইভ সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে জাহাজপুরা ঘাট এলাকা থেকে ৩৯৬ জন রোহিঙ্গাকে একটি বড় ফিশিং ট্রলার হতে উদ্ধার করে বাংলাদশ কোস্টগার্ড। এদের মধ্য ১৫০ জন পুরুষ, ১৮২ জন মহিলা, ৬৪ জন শিশু রয়েছে।
নানা প্রক্রিয়া শেষে বহস্পতিবার বিকালের দিকে এসব রোহিঙ্গা নাগরিকদের ইউএনএইচসিআর এর কাছ
হস্তান্তর করা হয়েছে। ইউএনএইচসিআর এর অধীনে উদ্ধার রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফের দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিন থাকবেন তারা।
বুধবার রাতে কোস্টগার্ড স্টেশন বাহারছড়া জাহাজপুরা ঘাট থেকে কিছু দূরে একটি ফিশিং ট্রলার ভাসমান অবস্থায় রয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফিশিং ট্রালারটিকে উদ্ধার করে ঘাটে আনা হয়। এ সময় উক্ত ট্রলারটিতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদেরকে পাওয়া যায়। পরে পুলিশ ও বিজিবির সহায়তায় তাদেরকে ঘিরে রাখা হয়। এসময় উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের প্রয়াজনীয় খাবার ও প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে কোস্টগার্ড।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত ৫৮ দিন যাবৎ ট্রলারটি সাগরে ভাসছিল। তারা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে মালয়েশিয়া যাবার উদ্দেশে সমুদ্রে পাড়ি জমায়। কিন্তু মালয়েশিয়া সমুদ্র সীমানায় দেশটির কোস্টগার্ড কর্তৃক তাদেরকে আটক করে কিছু খাবার, পানি ও জ্বালানি প্রদানপূর্বক ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে তারা সেখান থেকে চলে এসে মিয়ানমারে প্রবেশের চেষ্টা করলে মিয়ানমার নৌবাহিনী তাদের আটক করে এবং বাংলাদেশের দিকে পাঠিয়ে দেয় বলে জানায় উদ্ধারকৃত এক রোহিঙ্গা নাগরিক।
কোস্টগার্ডর টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ লেফটন্যাট কমান্ডার এম সোহেল রানা জানান, উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের ইউএনএইচসিআর এর কাছ হস্তান্তর করা হয়েছে। ইউএনএইচসিআর এর অধীনে রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফের দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ দিন থাকবেন। পরে রোহিঙ্গাদের স্ব স্ব ক্যাম্পের সিআইসিদের মাধ্যমে তাদরে স্ব স্ব পরিবাবারের কাছে পাঠানা হবে। রোহিঙ্গারা সবাই কিছুদিন আগে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাত্রা করছিল। কিন্তু পরে দেশটিতে ভিড়তে না পারায় বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। “উদ্ধার হওয়া ৩৯৬ জন রোহিঙ্গা উখিয়া ও টেকনাফর বিভিন ক্যাম্পের বাসিন্ধা। এদের মধ্য ১৫০ জন পুরুষ,১৮২ জন মহিলা ও ৬৪ জন শিশু রয়ছ।
বিডি প্রতিদিন/কালাম