৬ দিন পেরিয়ে গেলেও মোবারক মিয়ার (৪৫) বিচ্ছিন্ন পা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পায়ের ওই অংশ ছাড়াই দাফন করা হয়েছে তাকে। শুক্রবার ভোররাত ৪টায় নামাজে জানাযা শেষে নবীনগরের কৃষ্ণনগরে হাজিরহাটি গ্রামে দাফন হয়।
জানাযায় প্রায় ৪০/৫০ জন লোক অংশ নেয়। গত ১২ এপ্রিল দাঙ্গাবাজরা মোবারকের বাম পা গোড়াড়ির ওপরের অংশ থেকে কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করে। এরপর কাটা পা হাতে নিয়ে আনন্দ মিছিল করে। এসময় ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানও দেয় তারা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ দিন পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে মারা যান মোবারক। এরপর মরদেহে করোনা সংক্রমন আছে কিনা এর পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর রাতে লাশ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
মোবারকের ডান পাও কুপিয়ে আলাদা করার চেষ্টা করা হয়। দুই হাত এবং পিঠেও বেশ কয়েকটি কোপ দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন। বর্বরোচিত এঘটনা আলোচিত হয় দেশ-বিদেশে। নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনোজিৎত রায় জানান, মোবারকের পরিবার এখনো কোন মামলা দেয়নি।
তবে ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে দাঙ্গাবাজ দু’পক্ষের নেতাও রয়েছে। তবে সরাসরি মোবারককে কোপানোর সঙ্গে জড়িতদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল