ভাঙ্গায় দুই পক্ষের দুই দফা সংঘর্ষে ১৩ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের সাতটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বেলা ১১টা এবং দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের ভীমের কান্দা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাহেব মোল্লা ও সিরাজ মাতুব্বরের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে সাহেবের সমর্থক হায়দার মুন্সীর স্ত্রী বেদানা বেগম (৩৩) সিরাজের সমর্থক আনসার মাতুব্বরের পাট ক্ষেতে ছাগল বাঁধেন। এ ঘটনায় আনসার ক্ষিপ্ত হয়ে বেদানাকে মারধর করেন।
এ ঘটনার জের ধরে বেলা ১১টা থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর দুপুর দেড়টা থেকে দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে বিকেল পৌনে তিনটার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৩জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের সাতটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে সাহেব মোল্লার বাড়িও রয়েছে।
ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল হক বলেন, পুলিশ দুই দফা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল