করোনা সংক্রমনরোধে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার রানীগঞ্জ হাটে গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার হাজার হাজার মানুষ কেনা-কাটার জন্য ভিড় করেছে।
ওই এলাকার আরমান জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে কিছু সবজি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য কিনতে আমি রানীগঞ্জ হাটে যাই। পরে দেখতে পাই সেখানে হাজার হাজার লোক পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পণ্যসামগ্রী কেনা-বেঁচা করছেন। তাদের মধ্যে ন্যূনতম সামাজিক দূরত্ব নেই। সরকারি নির্দেশ তারা মানছেন না।
তিনি আরও জানান, গত সপ্তাহ এভাবে বাজার বাসানোর অভিযাগে ইজারাদার আব্দুল মান্নান ও বাজার কমিটির সভাপতি ফজল মাস্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তারপরও এভাবে বাজার বসিয়েছে।
ইজারাদার আব্দুল মান্নান জানান, রানীগঞ্জ হাটটি পাশেই একটি স্কুল মাঠে
স্থানান্তরিত করেও লোকজনকে সামাল দিতে পারছি না। এ কারণে গত বৃহস্পতিবার মোবাইল কোর্ট বাজার কমিটির সভাপতি ও আমাকে ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে। দূরে দূরে দোকান বসিয়ে এবং দফাদার/গ্রাম পুলিশ দিয়েও সামাজিক দূরত্ব ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আসলে এলাকার মানুষ সচেতন নয়। তাই পুলিশ দরকার।
কাপাসিয়া থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে দুপুরে হাটে পুলিশ পাঠানো হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. ইসমত আরা জানান, শনিবার থেকে কাপাসিয়া উপজলায় খোলা স্থানে হাটবাজার বন্ধ করতে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। তবে ভ্যানে করে প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি বা সরবরাহ করতে নিষেধ নেই। এর আগে কাপাসিয়া বাজারসহ পাঁচটি হাট-বাজার পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তারপরও সাধারণ মানুষ বুঝতেছে না। তবে আমরা আরও কঠোর হবো।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ