করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে বাংলাদেশের বৃহৎ দিনাজপুরের ঈদগাহ গোর এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত হচ্ছে না। এর আগে ৫টি ঈদের জামাত এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর এ শহীদ বড় ময়দানে উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাতে লাখ লাখ মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করেছে। প্রথমাবেরর মতো সেখানে জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
করোনাভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনায় কোনো ফাঁকা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। তবে দিনাজপুরের বিভিন্ন মসজিদে এবার ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে উন্মুক্ত স্থানে ঈদুল ফিতরের জামাত না করে মসজিদে পড়ার অনুরোধ জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর এ শহীদ বড় ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত। তাই ঈদের আগে গোর এ শহীদ বড় ময়দানে ঘিরে নেই প্রশাসনের তোড়জোড়।
প্রথমবারের মতো ঈদের জামাত বন্ধ হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ স্থানীয় মুসল্লিদের মাঝে। তবে দেশের স্বার্থে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়ে অনেকে স্বাগত জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, দেশের বৃহৎ এ ঈদগাহে দৃষ্টি নন্দন ঈদগাহ মিনারে রয়েছে ৫২টি গম্বুজ। প্রধান গম্বুজের সামনে রয়েছে মেহরাব, যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন, তার উচ্চতা ৪৭ ফুট। এর পাশাপাশি রয়েছে ৫১টি গম্বুজ। এ ছাড়া ৫১৬ ফুট দৈর্ঘ্যের ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠের দুই ধারে করা হয়েছে অজুর ব্যবস্থা। পুরো মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত করা হয়েছে। প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। রাত হলেই ঈদগাহ মিনার আলোকিত হয়ে ওঠে।
এর আগে গোর এ শহীদ বড় ময়দানে ছোট পরিসরে ঈদের নামাজ প্রতিবছরই আদায় করা হতো। সে ঈদগাহ সরিয়ে মাঠের পশ্চিমে নেওয়ার পর নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টি নন্দন ও সৌন্দর্য মন্ডিত ঈদগাহ মিনার। এটি এখন বাংলাদেশে তথা দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহত ঈদগাহ ময়দান। মিনার কেন্দ্রীক মাঠের আয়তন ২০ থেকে ২২ একর। তবে মাঠের মধ্যে আরও কিছু স্থাপনা অপসরণের কাজ চলছে। যা শেষ হওয়ার পর পুরো মাঠের আয়তন হবে ৬৫ একর।
গত গত ৫টি ঈদে এই মাঠে দিনাজপুর ছাড়াও আশেপাশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার মানুষ ঈদ জামাতে শরীক হয়েছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন