কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। উপজেলায় একদিনে ৮ জন চিকিৎসক ও ৬ স্বাস্থ্য কর্মীসহ ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় সর্বমোট ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার বিকালে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয় ও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আক্রান্ত ৮ জন চিকিৎসক ও ৬ স্বাস্থ্যকর্মী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। অন্যদের মধ্যে পৌর সদরের হরিপুর গ্রামের দু'জন, রায়কোট দক্ষিণ ইউপির মালিপাড়া গ্রামের একজন, পূর্ববাম পাড়ার একজন, মৌকরা ইউপির চারিতুপার একজন, ঢালুয়া ইউপির মন্নারার দুইজন, দৌলখাঁড় ইউপির দেওভান্ডার গ্রামের একজন ও সোন্দাইল গ্রামের একজন রয়েছেন। ক্রমাগত এখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্থানীদের মধ্যে উদ্বেগ-আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোটে এ পর্যন্ত ৩৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কুমিল্লার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে সর্বমোট ৩০০ জনের রিপোর্ট এসেছে। এ পর্যন্ত এখানে ৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও এ উপজেলার আরও দুইজনের পার্শ্ববর্তী লাকসামে করোনা পজিটিভ এসেছে। তাদের লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে আইসোলোশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখানে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। তবে উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত চারজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাদের সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব দাস দেব জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করে তাদের আইসোলোশনে নিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লামইয়া সাইফুল জানান, উপজেলায় একদিনে ১৪ জন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ সর্বমোট ২৫ জন আক্রান্তের খবর উদ্বেগের। এ মুহূর্তে সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই। করোনার ভয়াবহতা থেকে নাঙ্গলকোটকে রক্ষা করতে তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন। নাগরিকদের যে কোন প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন পাশে আছে বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত