২৯ মে, ২০২০ ১৪:০৮

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য পাচারের অভিযোগে ২ মামলা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি


সোনামসজিদ স্থলবন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পণ্য পাচারের অভিযোগে ২ মামলা

সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পানামা ইয়ার্ডের ভেতরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৩২ লাখ ৭৭ হাজার টাকার পণ্য পাচার চেষ্টার অভিযোগে দুটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২০ মে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদ হোসাইন খান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ভারত থেকে দুটি চালানে প্রায় ৫৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা মূল্যের সাইকেলের যন্ত্রপাতি আমদানি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরামবাগের মেসার্স বিএইচ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান এবং পণ্যটি ছাড় করানোর জন্য গত ২৩ মার্চ কাগজপত্র দাখিল করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিএন্ডএফ এজেন্ট আমিন ট্রেড এজেন্সি। তবে করোনাভাইরাসের কারণে পণ্য ছাড়ে বিলম্ব হয়। 

এদিকে গত ১৮ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আমদানিকৃত পণ্যের প্রায় ৩২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে পাচার করার অভিযোগ এনে সোনামসজিদে দায়িত্বরত কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার সুনন্দন দাস, রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শাহজাহান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদ আল হোসাইন খান ওই পণ্য আটকে দেন।

কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার সুনন্দন দাস জানান, পণ্যগুলো রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছিল। তাই সেগুলো আটকে দেয়া হয়। পরে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহমুদ আল হোসাইন খান বাদী হয়ে ২টি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেন। আটকে রাখা সাইকেলের পার্টসগুলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড কর্তৃপক্ষের হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মহাপরিচালক, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এবং সহকারী পরিচালক কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরকে অবহিত করা হয় বলেও জানান তিনি।

এদিকে আটকে রাখা পণ্যের ব্যাপারে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই মাস আগে ভারত থেকে সাইকেলের পার্টসগুলি পানামা ইয়ার্ডের ভেতরে রাখা হয়। সেগুলি যথাযথ পরীক্ষার মাধ্যমে ছাড় করোনের ব্যবস্থা করা হয় গত ১৮ মে। একপর্যায়ে পরীক্ষার সময় কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের ২ জন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কিছু পণ্য ট্রাকে লোড হবার পর পণ্যগুলি আটকে দেয় গোয়েন্দা বিভাগ। পুনরায় সেগুলো পানামার গুদামে রাখা হয় বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে পণ্যের বিল অব এন্ট্রি-বি.ই দাখিখকারী আমীন ট্রেড এজেন্সির মালিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রুহুল আমিন জানান, পরীক্ষা ও শুল্কায়ন করার পর সোনালী ব্যাংক সোনামসজিদ শাখায় জমা দেয়ার পরই পণ্য ছাড় হয়েছিল। কিন্তু গোয়েন্দা বিভাগ সন্দেহজনকভাবে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ তুলে পণ্য আটকে দেয়। তিনি বিভাগীয় কাস্টমসের কাছে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি ভিত্তিতে পণ্যগুলো ছাড় করানোর দাবি জানিয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন/আল আমীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর