৪ জুলাই, ২০২০ ১৭:০৫

গরু চুরির ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে দুই উপজেলার মানুষের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর:

গরু চুরির ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে দুই উপজেলার মানুষের

রংপুরের দুই উপজেলার গৃহস্থরা গরু চুরি ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। মিঠাপুকুরে গত দুই সপ্তাহে কমপক্ষে ১৬টি গরু চুরি হয়েছে। পীরগঞ্জ উপজেলায় ৪দিনের ব্যবধানে ১২টি গরু চুরি হয়েছে। চুরি রোধে গ্রামে গ্রামে গোয়ালঘর পাহারা দিচ্ছেন গৃহস্থরা। ইতোমধ্যে মিঠাপুকুরে পুলিশ ৩ গরু চোরকে আটক করেছে। 

এলাকবাসী সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের কৃষক আবদুল কাদের মিয়ার ২টি, তাঁর ছেলে আহসান হাবিব আপেলের ২টি, একই গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা ছায়মা বেগমের ৫টি গরু বুধবার রাতে চুরি হয়। একই রাতে উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের মোলং হাট নয়াপাড়া গ্রামের শাহাজাদা মিয়ার একটি গরু চুরি হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের হাতিমপুর গ্রামের দুদু ফকিরের ৪টি গরু চুরি হয়। ৮দিন আগে (শুক্রবার) একই গ্রামের আরও এক কৃষক বাবলু মিয়ার ২টি গরু চুরি হয়েছে। গরু চুরি ঠেকাতে গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছে প্রতিরোধ কমিটি। কমিটির সদস্যরা পালা করে প্রতিরাতে লাঠিসোটা নিয়ে গ্রামের প্রবেশ পথে পাহারা দিচ্ছেন। বিশেষ করে কাশিপুর, মামুদপুর, হাবিবপুর, পাইকান, নয়াপাড়া, লতিবপুর, আফজালপুর, জলছত্তর, হাতিমপুরসহ ২০টিরও বেশি গ্রামে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে কৃষক। 

এদিকে  পীরগঞ্জ উপজেলায়  ৪ দিনের ব্যবধানে ১২ টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২৬ জুন রাতে উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের টিওরমারী গ্রামের জয়নাল আবেদীন নামের একজন কৃষকের  ইটের গোয়াল ঘরের দেয়াল কেটে ৫টি গরু ও শানেরহাটের হরিরাম শাহাপুরের সাবেক সেনা সদস্য খন্দকার বদরে আলমের ১টি, আগের দিন বৃহস্পতিবার হরিণা গ্রামের কামরুল ও ফুল বাবুর ২টি করে ৪টি গরু ও গত রোববার রাতে মদনখালী ইউনিয়নের উল্লাগাড়ী গ্রামের চাঁন মিয়ার ২টি গরু চুরি যায়।  এসব চুরির ঘটনায় থানা পুলিশকে জানানোও হলেও চুরি রোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। 

মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, গরু চুরি প্রতিরোধে পুুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চোর ধরতে চিরুনী অভিযান চলছে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পীরগঞ্জ থানার ওসি সরেস চন্দ্র বলেন, গরুচোর ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর