১০ জুলাই, ২০২০ ১৩:৫৫

ট্রাক ভর্তি সীসা ছিনতাই, আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নরসিংদী প্রতিনিধি

ট্রাক ভর্তি সীসা ছিনতাই, আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নরসিংদীতে আলোচিত ট্রাক ভর্তি সীসা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবসায়ী মামুন সরকার বাদি হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি অপহরণ ও ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের করেন। 

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার বেশ কয়েকটি সিসিটিভির ফুটেজ ও অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল ইসলাম রিমন ও নরসিংদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল আলম একমির সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। 

এ ঘটনায় পুলিশ একটি প্রাইভেটকার, তিন মোটরসাইকেল ও সীসা ভর্তি ট্রাক আলামত হিসেবে জব্দ করেছে। পাশাপাশি দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে একজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ জুন ব্যবসায়ী মামুন সরকার নরসিংদীর চরহাজীপুর এলাকায় তার প্রতিষ্ঠান থ্রি ব্রাদার্স ব্যাটারি সার্ভিস কর্নার থেকে সীসাভর্তি ট্রাক নিয়ে ময়মনসিংহ শহরে যাচ্ছিলেন। ওই ট্রাকে থাকা ১০ টন সিসার দাম আনুমানিক ২২ লাখ টাকা। যাওয়ার পথে সদর উপজেলার পুরানপাড়া এলাকায় একটি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে সাত-আটজন তাদের গতিরোধ করে। পরে ব্যবসায়ী মামুন, ট্রাকচালক আসাদ মিয়া ও হেলপার অলিউল্লাহকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ট্রাক থেকে নামিয়ে প্রাইভেট কারে তুলে মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সীসাভর্তি ট্রাক ও তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ঘোড়াদিয়া এলাকায় একটি কারখানার ভেতর। সেখানে নিয়ে ব্যবসায়ী মামুনের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পড়লে অপহরণকারীরা সীসাভর্তি ট্রাক, প্রাইভেট কার ও তিনটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী মামুন সরকার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ প্রাইভেটকারের চালক রোমান মিয়া ও কারখানার দারোয়ান সোবহান মিয়াকে গ্রেফতার করে। পরে রোমান মিয়া ওই ঘটনায় অজানা এক বড় ভাই ছাড়াও ওয়াজেদ সরকার, রাসেল, রায়হান ও উৎপল নামের কয়েকজনের জড়িত থাকার কথা জানিয়ে আদালতে জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সৈয়দ রুহুল আমিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে অপহরণে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাইভেট কারের চালক রোমান মিয়া ও কারখানার দারোয়ান সোবহানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোমান মিয়া আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে মোটরসাইকেলের মালিক ওয়াজেদ সরকার, আশিক ও মনির নামসহ অনেকের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। সেভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  

অভিযুক্ত রবিউল আলম একমির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসানুল ইসলাম রিমন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি কখনোই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য শত্রুরা ষড়যন্ত্র করছে।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর