২ আগস্ট, ২০২০ ১৩:৪৬

করোনা, বন্যা ও ভাঙনের বিরুদ্ধে ত্রিমুখী লড়াই, দিশেহারা চরাঞ্চলের মানুষ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

করোনা, বন্যা ও ভাঙনের বিরুদ্ধে ত্রিমুখী লড়াই, দিশেহারা চরাঞ্চলের মানুষ

পদ্মা-মেঘনা বেষ্টিত শরীয়তপুর জেলায় প্রতি বছরের মতো এ বছরেও নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে কয়েকশ পরিবার। পাশাপাশি মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বন্যার কারণে দিশেহারা জেলার অসংখ্য মানুষ। এবছর ঈদের আনন্দ তো দূরের কথা বন্যাদুর্গত এলাকায় অনেকের দুই বেলা খাবার জোটাতে হিমশিম। অনেকেই কোরবানি দিতে পারেনি। বন্যার পানিতে বন্দী হয়ে পড়ায় গরীব ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ মাংস সংগ্রহেও যেতে পারেনি।

ঈদের আনন্দ থেকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হয়েছে শরীয়তপুরের চরাঞ্চলের মানুষ। নদীর মাঝখানে জেগে উঠা এসব এলাকার মানুষের  কপালে ঈদের আগেও জোটেনি পর্যাপ্ত সহযোগিতা। সরকারের পক্ষ থেকে ১০ কেজি করে ভিজিএফ এর চাল বরাদ্দ দেওয়া হলেও তাদের অধিকাংশই সে চাল পাননি। ঘরবাড়ি হারানো পরিবারগুলো এখন নিঃস্ব। ঈদের আনন্দ যেন তাদের কাছে শুধুই সুখস্মৃতি।

এদিকে, জেলার ছিন্নমূল মানুষের কান্নার রোল যেন থামছেই না। করোনা, বন্যা ও নদী ভাঙ্গন ত্রিমুখী লড়াই করেই জীবন চলছে জেলার মানুষের। বন্যার পানি কিছুটা কমলেও কমেনি মানুষের দুর্ভোগ। এ জেলায় বন্যার পানিবন্দি তিন লাখের বেশি মানুষ।

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর