২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:৫১

কুড়িগ্রামে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, ভোগান্তিতে মানুষ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, ভোগান্তিতে মানুষ

অবিরাম প্রবল বর্ষণের কারণে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের পৌরসভা এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জেলা শহরের অনেক মানুষ। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়সহ বিভিন্ন সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় চলতি বর্ষা মৌসুমের সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমান ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ কারনে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে জেলা শহরের এসব অফিস পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা। তবে পৌরবাসীদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও দীর্ঘদিন যাবত কোন সংস্কার না হওয়ায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ কারনে ভাঙাছেঁড়া ও আবর্জনায় ভর্তি ড্রেনেজ দিয়ে পানি নামছে ধীরে ধীরে। এ অবস্থায় ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌরবাসীরা। 

শনিবার বিকেল থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত প্রবল বৃষ্টিতে একাকার হয়ে যায় জেলা শহর। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দেখা দেয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতাল রোড, মজিদা আদর্শ ডিগ্রী কলেজ মাঠ, পিটিআইসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান, কলেজ মোড় থেকে জেলা প্রশাসকের বাসভবন রোড সর্বত্রই থৈথৈ করে পানি আর পানি। হাঁটু পানিরও বেশিতে চলছে রিকশা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহন। এসব গাড়ি ইঞ্জিনের ওপর মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলতে দেখা যায়। ফলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসা ও বিভিন্ন অফিসগামী মানুষ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মস্থলে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের কোয়ার্টার গুলোর সামনে জমেছিলো হাঁটু পানি।

পৌর এলাকার হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা শাহিন আহমেদ জানান, আমাদের এ পাড়ার মুক্তিযোদ্ধা পরিবার, ডাক্তার, স্বাহ্যকর্মী, শিক্ষকসহ ৭শতাধিক পরিবার এখন ভয়াবহ জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বৃষ্টি হলেই এখানে মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। 

পৌর মেয়র ও আমাদের ওযার্ড কাউন্সিলরের কাছে বারবার যোগাযোগ করেও এর কোন সমাধান করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। একই অবস্থা আরো অনেক এলাকায়। তবে সংশ্লিষ্টরা বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ায় পৌরসভার এ বেহাল অবস্থা। একই অবস্থা জেলা পরিষদসহ ডাকবাংলা পাড়ায়, চর কুড়িগ্রাম, সরদার পাড়া, হাসপাতাল পাড়া, নতুন রেলস্টেশন পাড়া, রৌমারীপাড়া, তালতলা, চর হরিকেশ, ছয়ানি পাড়া বস্তি, পিটিআই বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকায়। 

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আব্দুল জলিল জানান, পাকা ড্রেন সংস্কার ও কিছু স্থানে নতুন ড্রেন নির্মাণ পরিকল্পনা না থাকলেও বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজ করা যাচ্ছে না। তবে সীমিত সাধ্য সত্বেও তারা জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর